বরাদ্দ টাকা না মেলায় বন্ধ একশো মিটার রাস্তার কাজ

পাঁচ বছরেও শেষ হল না একশো মিটার রাস্তার কাজ। গত তিন বছর ধরে থমকে রয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের সুনীতিবালা সদর হাইস্কুলের সামনে করলা নদীর সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী সমাজপাড়ার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০১৪ ০১:৪৯
Share:

কাজ বন্ধ ৩ বছর। জলপাইগুড়িতে রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোলা ছবি।

পাঁচ বছরেও শেষ হল না একশো মিটার রাস্তার কাজ। গত তিন বছর ধরে থমকে রয়েছে জলপাইগুড়ি শহরের সুনীতিবালা সদর হাইস্কুলের সামনে করলা নদীর সেতুর সঙ্গে সংযোগকারী সমাজপাড়ার রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। পাঁচ বছর আগে কাজ শুরুর সময় ব্যয় বরাদ্দ ধার্য হয়েছিল প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। প্রথম পর্যায়ে মেলা অর্থ থেকে অর্ধেক কাজ হওয়ার পরেই কাজ বন্ধ হয়ে যায় টাকার অভাবে। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনেও পরে জট খোলেনি আর।

Advertisement

জলপাইগুড়ির সমাজপাড়া ও হাকিম পাড়ার মধ্যে সংযোগকারী রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ ২০০৯ সালে শুরু হয়েছিল। তিন মিটার চওড়া রাস্তাকে ছ’মিটার করার পরিকল্পনা হয়েছিল। প্রথম দু’ বছর কাজ হয়েছিল নির্দিষ্ট গতিতেই। ২০১১ র মাঝামাঝি থেকেই কাজ বন্ধ। অর্ধ সমাপ্ত এই রাস্তায় যানজট প্রতিদিনের সমস্যা। আর এর ফল সবথেকে বেশি ভুগতে হচ্ছে সুনীতিবালা সদর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের। সম্প্রতি সমস্যা সমাধানের জন্য স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা অপর্না বাগচি জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যানকেও চিঠি দিয়েছেন।

জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু জানান, প্রথম পর্যায়ে সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে কাজ হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে অনুন্নত এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়ে কাজ শেষ করার কথা। সেই টাকা না আসায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। জানা গেছে, সীমান্ত এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে ৪৮ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকায় প্রথম পর্যায়ের কাজ হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা অনুন্নত এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে পাওয়ার কথা থাকলেও তা মেলেনি। প্রথম পর্যায়ের টাকা দিয়ে করলার সেতুর শেষে নিচু এলাকায় লোহার স্তম্ভ, ফ্রেম বসিয়ে ঢালাই করে রাস্তা তৈরি করা শুরু হয়েছিল। করলা নদীর সেতু থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করে রেলিং দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। বদলে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কংগ্রেসের রানি মাহাতো বলেন পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজটি শেষ করার আবেদন জানিয়ে কাজের কাজ হয়নি কিছুই। তিন বছর ধরে কাজ বন্ধ থাকায় অনুন্নত এলাকা উন্নয়ন তহবিল থেকে প্রাপ্ত ২৬ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা পাওয়া গেলেও তা দিয়ে কাজ শেষ করা যাবে কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement