লালকৃষ্ণ আডবাণীর পরে ররিশঙ্কর প্রসাদ। ফের কেন্দ্রীয় নেতার জনসভা বাতিল হওয়ায় ক্ষোভ ছড়াচ্ছে জেলা বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে। দলীয় সূত্রের খবর, পরিস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি পাশের রাজ্য থেকে ভোজপুরি তারকা মনোজ তেওয়ারিকে কোচবিহারে প্রচারে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু জেলা বিজেপি নেতারা জানিয়ে দেন, আর কোনও কেন্দ্রীয় নেতা, তারকাকে কোচবিহারে প্রচারে পাঠানোর প্রয়োজন নেই। জেলা নেতারাই লড়াই করবেন। ক্ষোভ লুকিয়ে রাখেননি বিজেপি-র কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী তথা দলের জেলা সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মন। তিনি বলেন, “রাজ্যের মধ্যে কোচবিহার একটি ভাল আসন। আডবাণী বা রবীশঙ্কর প্রসাদ প্রচারে এলে পরিস্থিতি বদলে যেত। কিন্তু তা হল না। নানা অসুবিধের কারণে তাঁরা আসেননি। মনোজ তেওয়ারিকে প্রচারে পাঠানোর কথা বলা হয়। এই মুহূর্তে আর কারও দরকার নেই। আমরা নিজেরাই লড়াই করব।” রবিবার দুপুরে কোচবিহার রাসমেলার মাঠে জনসভার কথা ঘোষণা করা হয়। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল দলের কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদের। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নেওয়ার পাশাপাশি জনসভার জন্য সমস্ত রকমের কাজ সম্পূর্ণ করেন জেলা নেতারা। নিরাপত্তার দিকও খতিয়ে দেখা হয়। শনিবার রাতে রবিশঙ্কর প্রসাদ সভায় থাকতে পারবেন না বলে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেই বিজেপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ৭ এপ্রিল কোচবিহারে প্রচারে আসার কথা ছিল আডবাণীর। সে ব্যাপারে কমিশনের অনুমতির পাশাপাশি বিমানবন্দরের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত ব্যবস্থা করেন বিজেপি নেতারা। এমনকী জেলা জুড়ে মাইকে টানা প্রচার করা হয়। সভার আগের দিন লালকৃষ্ণ আডবাণী সভায় যোগ দিতে পারছেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। হতাশ হয়ে পড়েন নেতা-কর্মীরা। সেই সময় রবীশঙ্কর প্রসাদ রাসমেলার সভা করবেন জানিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রবক্তা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ কোচবিহারে এসে জানান, রাজ্য সরকার নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করায় লালকৃষ্ণ আডবাণী প্রচারে আসতে পারেননি। যদিও ওই দাবি মানতে চাননি প্রশাসনের কর্তারা। এদিন ফের রবীশঙ্কর প্রসাদের জনসভা বাতিল হয়ে যাওয়ায় কর্মীদের হতাশা পরিণত হয় ক্ষোভে। জেলার কয়েকজন প্রথম সারির নেতা জানান, বিজেপি ভাল লড়াই দিতে পারে সেটা বুঝতে পারল না রাজ্য নেতারা। এ জন্য এই আসনে প্রচার নিয়ে এ সব করা হল।