আনন্দ পাঠক। ফাইল চিত্র।
প্রয়াত হলেন প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ আনন্দ পাঠক। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ শিলিগুড়ির প্রধাননগরের একটি নার্সিংহোমে তাঁর মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন ৮৫ বছরের এই কমিউনিস্ট নেতা। আজ শনিবার আনন্দবাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ হিলকার্ট রোডে সিপিএমের জেলা পার্টি অফিস থেকে শোক মিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে এ দিন রাতেই সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু শিলিগুড়িতে আসবেন বলে জানানো হয়েছে। শনিবার সকালে প্রাক্তন সাংসদের দেহ নিয়ে শেষযাত্রায় বিমানবাবুও উপস্থিত থাকবেন বলে দল সূত্রে জানানো হয়েছে।
এ দিন সকালে সিপিএমের জেলা অফিসে শোকসভা হয়েছে। চা বাগান শ্রমিক নেতা হিসেবেই তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু বলে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছে। দার্জিলিং জেলায় কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পরে সিপিএমের জেলা সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন। সত্তরের দশকে দার্জিলিঙের তত্কালীন জোরবাংলো বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে ৩ বার তিনি লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হন। একবার রাজ্যসভার সদস্যও হয়েছিলেন তিনি। প্রবীণ নেতার মৃত্যুতে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফেও শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে।
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আনন্দবাবুর মৃত্যু বামপন্থী রাজনীতিতে অবশ্যই একটি শূন্যতা তৈরি করবে। পাহাড়ের স্বায়ত্ব শাসনের জন্য তিনি বহু সংসদে সরব হয়েছেন। যদিও আশির দশকে পাহাড়ে আন্দোলনের সময় তাঁর বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে তিনি শিলিগুড়িতে এসে বসবাস শুরু করেন।” আনন্দবাবুর ছেলে সমনও সিপিএম থেকে রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ, জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার সহ অনান্যরা শোক প্রকাশ করেছেন বলে সিপিএম সূত্রে জানানো হয়েছে। এ দিন প্রয়াত নেতার বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবও। প্রায়ত সাংসদের ছেলে সমন জানিয়েছেন, মন্ত্রী সমবেদনা জানিয়েছেন। দার্জিলিঙের জেলা সিপিএমের কার্যকরী সম্পাদক জীবেশবাবু জানিয়েছেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজে শিলিগুড়িতে আসতে না পারলেও, পরিবারকে শোকবার্তা পাঠান।