Domjur Hospital

ডোমজুড় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘর থেকে সরল বেআইনি খাটাল, অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় প্রশাসন

ডোমজুড়ে মূল হাসপাতাল ভবনের পিছনে সেমিনার হলের কাছে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। অভিযোগ, সেই ঘরের একটিতে গরু বেঁধে রাখা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ডোমজুড় শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০০
Share:

হাসপাতালের এই পরিত্যক্ত ঘরেই ছিল গরু। — নিজস্ব চিত্র।

ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দেওয়া হল খাটাল। হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে গরু রাখার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় খাটাল। তাদের তরফে এ-ও জানানো হয় যে, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে এই হাসপাতালের।

Advertisement

ডোমজুড়ে মূল হাসপাতাল ভবনের পিছনে সেমিনার হলের কাছে বেশ কয়েকটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। অভিযোগ, সেই ঘরের একটিতে গরু বেঁধে রাখা হয়। অন্য একটি ঘরে গরুর খাওয়ার জন্য খড় মজুদ করে রাখা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল চত্বরের ভিতরে চার-পাঁচটি গরু রাখা হয়। খাটালের ব্যবসা চালান স্থানীয় যুবক শেখ সাহেব। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই হাসপাতালের বাইরে একটি গোয়ালঘর রয়েছে। সেই গোয়ালঘরে প্রবেশের জন্য হাসপাতালের দেওয়ালেই রয়েছে টিনের দরজা। সেই দরজা দিয়ে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়দের দাবি, ওই টিনের দরজায় ঝোলানো তালার চাবি হাসপাতালের কারও কাছে নেই। চাবিটি থাকে খাটালের মালিকের কাছে। গরু চরানোর জন্য তিনি রোজ সকালে টিনের দরজা খুলে হাসপাতাল চত্বরে গরু ঢুকিয়ে দেন। তার পর সারা দিন হাসপাতালের মাঠে গরু চরে। কিছু গরু রেখে দেওয়া হয় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ঘরে। ডোমজুড়ের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক (বিএমওএইচ) জানিয়েছিলেন, হাসপাতাল চত্বরে গরু চরে কি না, তাঁর জানা নেই। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে জানান।

এর পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। সরানো হয় খাটাল। যদিও বিজেপি দাবি করে, শাসকদলের মদতেই এ সব হয়েছে। জগৎবল্লভপুরের বিজেপি নেতা সুরজিৎ মণ্ডল জানান, প্রয়োজনে এই নিয়ে আন্দোলন করবেন তাঁরা। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মধ্যক্ষ সুবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রশাসনের নজরে আসতেই খাটাল সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ তিনি এ-ও জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতার আমলে ডোমজুড় হাসপাতালের উন্নতি হয়েছে। নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফাঁকা জায়গায় আলো এবং সিটি ক্যামেরা লাগানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement