প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা টাকা আদায়ের চক্রের তিন পাণ্ডাকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি থেকে তাদের ধরা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। শনিবার তাদের শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পাঁচদিনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, ‘‘এই চক্রটির বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তারই ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও কয়েকজনকে খোঁজা হচ্ছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, এই প্রতারণা চক্রটি শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ফাঁদে ফেলে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। ধৃতদের নাম দেবাশিস ধর, সোমা মোক্তান ও মৌমিতা মোক্তান। তারা জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কি মোড় এলাকায় ভাড়া নিয়ে থাকছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তবে এক ঠিকানায় বেশিদিন থাকে না বলেও জানা গিয়েছে।
কীভাবে ফাঁদ পাতে এরা?
জানা গিয়েছে, বাজারে ঘুরে প্রথমে ‘টার্গেট ব্যক্তি’ স্থির করে। তারপরে তার সঙ্গে আলাপ জমায় এক মহিলা। ধীরে ধীরে আলাপ গাঢ় হলে তাকে বাড়িতে ডাকে। বাড়িতে গেলে তাকে বসায় চা, মিষ্টি খাওয়ার প্রস্তাব দেয়। নিজের মেয়েকে ডেকে তার সঙ্গে গল্প করতে বলে। মেয়েটি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করে। সেই মুহূর্তে কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে হাজির হয়। তারা সংবাদ মাধ্যমে সমস্ত জানিয়ে খবর করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাতে ভয় পেয়ে তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলেই তার কাছ থেকে মোটা টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা নেওয়া হয় বাইরে অন্য কোথাও। গত মার্চ মাসে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানায় এমন একটি অভিযোগ করেন এ ভাবে কয়েক লক্ষ টাকা খোয়ানো এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় এমন একটি অভিযোগ করেন জলপাইগুড়িরই বাসিন্দা আরও এক ব্যবসায়ী।