প্রতিবেশী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক বিএসএফ জওয়ানের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় কুমারগ্রাম থানার ভল্কা গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ওই তরুণীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার সকালে ওই বিএসএফ জওয়ান এবং প্রতিবেশী এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, প্রতিবেশী ওই মহিলা নমিতা অধিকারীর সাহায্যে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সুজিত অধিকারী নামে ওই জওয়ান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের দু’জনেরই বাড়ি ভল্কা গ্রামে। সুজিত কোচবিহারে কর্মরত। কয়েকদিন আগে সে ছুটিতে বাড়ি যায়। সম্প্রতি অন্যত্র তার বিয়ে ঠিক হয়েছে। অভিযোগ, ওই সন্ধ্যায় প্রতিবেশী মহিলা তরুণীকে টিভি দেখার জন্য তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যান। আগে থেকেই সুজিত ওই বাড়িতে টিভি দেখছিলেন। বাড়িতে তখন ওই মহিলার স্বামী বা অন্য কেউ ছিলেন না। সুজিত ও ওই তরুণীকে বাড়িতে রেখে নমিতা মাঠে গরু আনতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ওই সময় ঘর বন্ধ করে সুজিত তরুণীকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। তরুণীর চিত্কার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান। সুজিত পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই তরুণী বারবিশা পুলিশ ফাঁড়িতে ওই বিএসএফ জওয়ান ও প্রতিবেশী মহিলার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে পাঠায়।
তবে অভিযুক্ত জওয়ান অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তার বক্তব্য, সে তরুণীর সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেনি। তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ মেঘারিয়া বলেন, এক তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এক বিএসএফ-এ কর্মরত এক যুবক ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত মহিলা পূর্বে এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অভিযুক্ত মহিলা নমিতা অধিকারী বলেন, “এমন ঘটনা ঘটবে ভাবতে পারিনি। বুঝতে পারলে গরু আনতে যেতাম না।”