ফাঁসিদেওয়া বিএড কলেজের অধ্যক্ষার নামে পড়ুয়ার উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্য ও নানা অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে অভিযোগ শোনার পর ৪ জনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়। এ দিনই সদস্যরা ফাঁসিদেওয়া বিএড কলেজ তথা বিদ্যাসাগর কলেজ অব এডুকেশনে গিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। শীঘ্রই কমিটি একটি রিপোর্ট দেবে। কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কলেজে নির্দিষ্ট পোশাক বা ড্রেস কোড চালু হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকে পোশাক পড়ে আসছেন না। তা নিয়ে সম্প্রতি ক্লাসে পড়ানোর পর অধ্যক্ষা পড়ুয়াদের বলেন, ‘বাংলায় প্রবাদ রয়েছে, কুকুরের লেজ সোজা করা যায় না। কথাটা তোমরা ভেবে দেখবে।’ পরে সে প্রসঙ্গ টেনে অধ্যক্ষা তাঁদের ‘কুকুর’ সঙ্গে তুলনা করেছেন বলে অভিযোগ তুলে এ দিন কুকুরের ছবি, নিচে অধ্যক্ষার বক্তব্য লিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড সেলে এবং উপাচার্যের দফতরে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। পরে তাঁরা স্মারকলিপি দেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের সদস্যরাও। আন্দোলনকারীদের তরফে গোপাল গোস্বামী জানান, তাঁরা অধ্যক্ষা কুণ্ডলিনী মোহন্তর অপসারণ দাবি করেছেন। তিনি বলেন, “অধ্যক্ষাকে আমরা কখনও তুই-তোকারি করিনি।” উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ বলেন, “পড়ুয়াদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের রিপোর্ট পেলে সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।” কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে অধ্যক্ষা জানিয়েছেন, কথা প্রসঙ্গে মুখ ফস্কে তিনি ওই প্রবাদের কথা বলেছিলেন। তাঁর জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন। বিএড কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি পার্থসারথি দাস বলেন, “প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে সব জানানো হয়েছে। নম্বর কমিয়ে দেওয়া বা উপস্থিতির হার নিয়ে সমস্যা তৈরি করা হবে বলে পড়ুয়াদের সন্দেহ অমূলক।” পড়ুয়াদের অভিযোগ, অধ্যক্ষাকে তাঁর মন্তব্য নিয়ে আপত্তি জানালে তিনি জানিয়েছিলেন, যা বলেছেন ঠিকই বলেছেন। ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার নিয়ে সমস্যা তৈরি করা, নম্বর কমিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।