বাম আমলে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) কাছ থেকে কাওয়াখালিতে ৮৪ কোটি টাকা দিয়ে জমি নিয়েও নানা কারণে প্রস্তাবিত উপনগরী প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারেনি বেঙ্গল ইউনিটেক সংস্থা। তৃণমূল ক্ষমতাসীন হওয়ার পরে ৩ বছর কেটেছে। এখনও ওই সংস্থার প্রস্তাবিত উপনগরীর কাজ শুরু হয়নি। তা নিয়ে নানা প্রশ্ন ওঠায় ওই সংস্থার সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু করেছে এসজেডিএ। সোমবার মহাকরণের রোটান্ডায় এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে বেঙ্গল ইউনিটিকের প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়। সেখানে নগরোন্নয়ন দফতরের সচিব পর্যায়ের অফিসাররাও ছিলেন। দু-তরফের আইনি পরামর্শদাতাও বৈঠকে ছিলেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “প্রাথমিক ভাবে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। আমরা চাই না কোনও সরকারি জমি শিল্পের জন্য দেওয়ার পরে দিনের পর দিন খালি পড়ে থাকুক। সেটাই বৈঠকে বলা হয়েছে। যাবতীয় জট কাটানোর চেষ্টা চলছে। দেখা যাক কী হয়।” সংস্থার তরফেও জট কাটিয়ে ওই এলাকায় উপনগরী গড়ার ব্যাপারে ফের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে বলে মহাকরণ সূত্রের খবর।
শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে কাওয়াখালিতে উপনগরী গড়ার জন্য ৩০২ একর জমি অধিগ্রহণ করে এসজেডিএ। সেই জমির মধ্যে ৯০ একর বেঙ্গল ইউনিটেক সংস্থা নেয়। আগাম হিসেবে ৮৪ কোটি টাকাও দেয় সংস্থাটি। এ ছাড়া, অন্যান্য একাধিক বড় মাপের সংস্থা কাওয়াখালিতে জমি নিয়ে শিল্প গড়তে উৎসাহী হয়। কিন্তু, কৃষি জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতায় আন্দোলনে নামে তৃণমূল। কংগ্রেসও সামিল হয়। এসজেডিএ-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্য পুনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করলেও পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতাসীন হলে ওই এলাকায় ১১ একর জমি অনিচ্ছুকদের দেওয়া হবে বলে ঘোষণা হয়। বাম আমলের পুনর্বাসন প্যাকেজের সঙ্গে আরও কিছু সংযোজন করে ৪০০টি পরিবারকে সরানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো ৮০টি পরিবারের হাতে জমির নথিপত্র দিয়েছে এসজেডিএ। এদিন বৈঠকের পরে এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান গৌতমবাবু বলেন, “পুজোর আগে বাকি ৩২০টি পরিবারের হাতেও পুনর্বাসন হিসেবে প্রাপ্য জমির নথি দেওয়া হবে।”