কার্নিভাল

অডিট করে জানানো হবে খরচের হিসেব

গোড়া থেকেই কার্নিভাল নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভার তরফে কার্নিভাল কমিটিকে ঋণ দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সোমবার স্বচ্ছতার দাবি করে কমিটির মুখ্য পৃষ্ঠপোষক গৌতম দেব জানালেন খরচের হিসেব অডিট করে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শিশুদের দিয়ে কাজ করানোরও অভিযোগ উঠেছিল কার্নিভাল কমিটির বিরুদ্ধে। এ দিন শিলিগুড়ি কার্নিভালে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৫২
Share:

গোড়া থেকেই কার্নিভাল নিয়ে অনেক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুরসভার তরফে কার্নিভাল কমিটিকে ঋণ দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সোমবার স্বচ্ছতার দাবি করে কমিটির মুখ্য পৃষ্ঠপোষক গৌতম দেব জানালেন খরচের হিসেব অডিট করে জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, শিশুদের দিয়ে কাজ করানোরও অভিযোগ উঠেছিল কার্নিভাল কমিটির বিরুদ্ধে।

Advertisement

এ দিন শিলিগুড়ি কার্নিভালে প্রায় এক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার পূর্ত দফতরের বাংলোয় সাংবাদিক বৈঠক করে উদ্যোক্তা কমিটির অন্যতম তথা শিলিগুড়ি পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া এবং পুর সচিব সপ্তর্ষি নাগকে পাশে বসিয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। শিলিগুড়ি কার্নিভাল কমিটির মুখ্য পৃষ্টপোষক গৌতমবাবু বলেন, “এ ধরনের কোনও আয়োজন করতে অর্থ লাগেই। শিলিগুড়ি কার্নিভ্যাল করতে প্রায় ১ কোটি টাকার মতো খরচ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে খরচের হিসাব বিস্তারিত অডিট করে আমরা জানিয়ে দেব। সততার সঙ্গে স্বচ্ছতার সঙ্গে সব কাজ করা হয়েছে।”

প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “সে সময় ওঁরা বিরোধী দল ছিলেন। একটা প্রশ্নও সেই সময় তোলেননি কেন। এতদিন পরে তাদের মনে পড়ল। নিজেদের দুর্নীতি তারা এ ভাবে চাপা দিতে পারবেন না।” সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন কার্নিভালের জন্য কয়েকটি সরকারি দফতর, উন্নয়ন সংস্থা থেকে অর্থ বরাদ্দ মিলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা, বিভিন্ন কোম্পানি, কর্পোরেট সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর দিয়েছে ১০ লক্ষ টাকা, এসজেডিএ এবং এমএসএমই ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের থেকে মিলেছে ১০ লক্ষ টাকা। বিস্তারিত হিসাব অডিট করে কার্নিভালের ওয়েব সাইটে দেওয়া হবে।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, “কিছু ভুল হলে সংশোধন করতে হবে। আমরাও রিভিউ করছি। তবে পুরসভায় যে প্রশাসক বোর্ড রয়েছে, আমি নিশ্চিত যে খরচে কোনও গরমিল হবে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement