Malda Airport

টাকা নেই, পরিত্যক্ত মালদহের বিমানবন্দর

রাজ্যের নির্দেশে বিমানবন্দরের জন্য জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তাদের দাবি, বিমানবন্দরের চার পাশে প্রচুর বহুতল বাড়ি, হোটেল গড়ে উঠেছে।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১০:০৪
Share:

মালদহ বিমানবন্দরের বন্ধ অফিস আগাছায় ভর্তি। ছবি স্বরূপ সাহা।

কয়েক কোটি টাকায় তৈরি হয়েছে রানওয়ে। তা এখন ‘ক্রিকেট পিচ’ থেকে গাড়ি চালানো শেখার ‘রাস্তা’। ছ’বছর আগে মালদহ বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। তবে টাকার অভাবে অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে বিমানবন্দরটি। উড়ান পরিষেবা চালুর স্বপ্ন কার্যত ‘বিশ বাঁও জলে’।

Advertisement

রাজ্যের নির্দেশে বিমানবন্দরের জন্য জমি খোঁজার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। তাদের দাবি, বিমানবন্দরের চার পাশে প্রচুর বহুতল বাড়ি, হোটেল গড়ে উঠেছে। বিমানবন্দর লাগায়ো রেল লাইনে বৈদ্যুতিকিকরণ করা হয়েছে। যা বড় উড়ানের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বড় উড়ানের রানওয়ের জন্য আরও জমি প্রয়োজন। বিমানবন্দর গাজলে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা চলছে। এখনই জমি চিহ্নিত করে পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্ভব নয়, দাবি আধিকারিকদের। মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “বিমানবন্দরটি চালু করার ব্যাপারে রাজ্য সরকার তৎপর।”

প্রশাসনের দাবি, ২০১৭ সালে রাজ্য সরকার বিমানবন্দরটির হাল ফেরাতে উদ্যোগী হয়। এর জন্য, ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হলে বিমান বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। ১৪৫০ মিটার লম্বা এবং ৩৩ মিটার চওড়া রানওয়েও তৈরি হয়েছে। সেই রানওয়েতে ১৮ আসনের উড়ান চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে দাবি এয়ারপোর্ট ইন্ডিয়া অথরিটির। রানওয়ে তৈরি হলেও এখনও পার্কিং জ়োন, যাত্রী প্রতীক্ষালয়, শৌচাগার, অফিস ঘর, দমকল কেন্দ্রের মতো নুন্যতম পরিকাঠামোও তৈরি হয়নি। সেই পরিকাঠামো গড়ে তুলতে আরও প্রায় ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন, দাবি প্রশাসনেরই কর্তাদের।

Advertisement

ফলে, টাকা খরচ করে রানওয়ে তৈরি হলেও এখন তা পরিত্যক্ত পড়ে নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, ক্রিকেট খেলা থেকে মোটর বাইক, গাড়ি চালানো শেখা, পরিবহণ দফতরের গাড়ির পরীক্ষাও এখন বিমান বন্দরেই হচ্ছে। অথচ, ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিমান বন্দর থেকে উড়ান পরিষেবা চালু ছিল। পরে, বিমান বন্দরটি পরিত্যক্ত হয়ে ওঠে। রাজ্যে পালাবদলের পরে সাত আসনের হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হওয়ায় ফের উড়ানের আশায় বুক বেঁধেছিলেন জেলাবাসী। স্কুল শিক্ষক মৃণাল চৌধুরী বলেছেন, “মালদহে জাতীয় সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ভাল। বিমানবন্দর চালু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement