খুনের অভিযোগে ধৃত মহিলা পুলিশ

এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ওয়াকার রাজা এ কথা জানান। ওই মহিলা কনস্টেবলের নাম অন্তরা গুহ নায়েক। তিনি কর্ণজোড়ায় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বাড়ি কালিয়াগঞ্জের কলেজপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, মানসী মল্লিক (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে অন্তরা দেবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত ধৃতকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:২৭
Share:

এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ায় এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশ কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার ওয়াকার রাজা এ কথা জানান। ওই মহিলা কনস্টেবলের নাম অন্তরা গুহ নায়েক। তিনি কর্ণজোড়ায় জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বাড়ি কালিয়াগঞ্জের কলেজপাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, মানসী মল্লিক (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে অন্তরা দেবীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালত ধৃতকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানতে পেরেছে, একসঙ্গে পড়াশোনা করার সুবাদে ছোট থেকেই মানসী ও অন্তরার মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। অন্তরা কর্ণজোড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের চারতলার দুটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। মানসীর বিয়ে হলেও স্বামী ও একমাত্র মেয়েকে ছেড়ে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অন্তরার সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটেই থাকতেন। গত ৩০ অগস্ট সকালে ফ্যাল্টের একটি ঘরে মানসীর ঝুলন্ত দেহ মেলে। দেহটি নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান অন্তরা। এর পরে অন্তরার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মানসীর বাবা মাখনবাবু। যিনি পুলিশে চাকরি করেন। বর্তমানে ইসলামপুর থানায় কনস্টেবল পদে তিনি কর্মরত।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০০০ সালের ডিসেম্বর মাসে কালিয়াগঞ্জের থানাপাড়া এলাকারই বাসিন্দা পেশায় ডাকঘরের কর্মী শেখর দাসের সঙ্গে মানসীর বিয়ে হয়। তাঁদের ১৩ বছর বয়সী অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী এক মেয়েও রয়েছে। শেখরবাবু জানান, গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর হেমতাবাদ ডাকঘর থেকে বালুরঘাট ডাকঘরে তাঁর বদলির নির্দেশ হয়। তিনি বলেন, “মানসী কিছুতেই অন্তরাকে ছেড়ে আমার সঙ্গে বালুরঘাটে যেতে চাইছিল না। গত ১১ জানুয়ারি মেয়ে, বাবা ও মাকে নিয়ে আমি বালুরঘাটে চলে যাই। তখন থেকেই স্ত্রী অন্তরার সঙ্গে তাঁর ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করে। মাঝেমাঝে ফোন করে বা দেখা করে স্ত্রী আমার ও মেয়ের খোঁজখবর নিলেও সে তার পর থেকে আমার সঙ্গে থাকত না। স্ত্রীর সঙ্গে গোলমাল ছিল না। আমার স্ত্রীকে খুন করা হয়ে থাকলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা হোক।”

Advertisement

মানসীদেবীর বাবা মাখনবাবুর দাবি, “অন্তরার সঙ্গে মেয়ের ছোটবেলা থেকেই গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অত্যাচার করে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে আমার সন্দেহ। কী কারণে মেয়েকে খুন করা হল তা তদন্তে স্পষ্ট হবে।”

অন্তরার আইনজীবী দীপক দাসের দাবি, পারিবারিক বিবাদের জেরে মানসীদেবী অন্তরাদেবীর ফ্ল্যাটের শৌচাগারে গলায় গামছার ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর আরও দাবি, “সেই সময় অন্তরাদেবী ঘুমিয়ে ছিলেন। পরিচারিকার চিৎকারে অন্তরাদেবী বিষয়টি জানতে পারেন। এর পরেই বাঁচানোর স্বার্থে তিনি কয়েকজন মহিলার সাহায্যে মৃতদেহটি নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান।”

ভুটভুটি বন্ধের দাবি। ভুটভুটি বন্ধের দাবিতে আজ, শুক্রবার থেকে দিনহাটা মহকুমায় বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিল সমন্বয় কমিটি। দিনহাটা মহকুমা বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ মালিক শ্রমিক সমন্বয় কমিটির অভিযোগ, মহকুমার বিভিন্ন রুটে ইঞ্জিন চালিত ভ্যান, ভুটভুটির দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। বাস, মিনিবাস, ছোটগাড়ি ও অটো মিলিয়ে মহকুমার তিনশোরও বেশি গাড়ির ব্যবসা মার খাচ্ছে। কিছু রুটে ফাঁকা গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সংগঠনের সম্পাদক নৃপেন দেবনাথ বলেন, “ভুটভুটির দৌরাত্ম্যে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে। শুক্রবার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement