বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির কারখানায় বামনগোলা ব্লক প্রশাসনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র sendmail.abhijit@gmail.com
বাড়ি-বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করছেন মহিলারা। সে বর্জ্য দিয়ে তৈরি করছেন জৈব সার। এমনই প্রকল্প চালু হয়েছে মালদহের বামনগোলা ব্লকের কুমারপুর শ্মশান লাগোয়া গ্রামে। শুধু বামনগোলাতেই নয়, স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে জেলা জুড়েই বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
বিডিও রাজু কুণ্ডু বলেন, “জৈব সার তৈরির একটি ইউনিট চালু হয়েছে। ব্লকের অন্য পঞ্চায়েতগুলিতেও বর্জ্য সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরির প্রকল্প তৈরির চেষ্টা চলছে।”
তবে গ্রামীণ এলাকায় বর্জ্য থেকে জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হলেও, একই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে জেলার দুই শহর ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহে। শহরবাসীর দাবি, শহরে দৈনিক টন-টন আবর্জনা সংগ্রহ হয়। সে আবর্জনা পৃথক ভাবে সংগ্রহের জন্য পুরসভার তরফে একাধিক বার বাড়ি পিছু দুটো করে প্লাস্টিকের বালতিও দেওয়া হয়েছিল। সে বালতিগুলিতে একটি করে পচনশীল এবং অপরটিতে প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তার পরে, আর কিছু হয়নি।
যদিও প্রকল্পটি রূপায়ণের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুরসভা কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, গ্রামীণ এলাকায় জমি নেওয়া হয়েছিল। সে জমিতে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পরে, জৈব সার তৈরির কাজ শুরু হবে। পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “দ্রুত প্রকল্প রূপায়ণের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
শহরে শুরু না হলেও বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাট, জগদল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রাম নিয়ে জৈব সার তৈরির একটি প্রকল্প চালু হয়েছে। সেখানে কাজ করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। তাঁরা বর্জ্য পৃথক ভাবে রাখার জন্য গ্রামবাসীদের সচেতন করছেন। পরে, তা সংগ্রহ করে জৈব সার তৈরি করা হচ্ছে। বামনগোলার মতো কালিয়াচক, ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদহ, চাঁচলের মতো ব্লকেও প্রকল্পের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।