Teesta Flash Flood

কারও পৌষমাস... তিস্তার জল সরতেই আট লাখের গয়নাপ্রাপ্তি তিস্তাবাজারের সুমিত্রার

জলের তোড়েই ভেসে এসেছিল সে ব্যাগ। কৌতূহলের বশে ব্যাগ খুলেই চোখ কপালে উঠল ওই মহিলার। ব্যাগের ভিতর থেক পেলেন সোনা-রুপোর অলঙ্কার থেকে শুরু করে সোনার ছোট ছোট কয়েন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

তিস্তাবাজার শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৩ ২১:৫৬
Share:

তিস্তার জলে ভেসে আসা কুড়িয়ে পেলেন তিস্তাবাজারের সুমিত্রা ছেত্রী। —নিজস্ব চিত্র।

সিকিমের হড়পা বান আর তিস্তার তীব্র জলোচ্ছ্বাসে হাজার হাজার বাড়ি জলবন্দি ছিল। এখন পলির তলায় রয়েছে অনেক বাড়ি। সেই জলের তলায় ‘গুপ্তধন’ পেলেন তিস্তাবাজারের বাসিন্দা সুমিত্রা ছেত্রী!

Advertisement

শুক্রবার বাড়ির সামনে থেকে পলি সরানোর কাজ করছিলেন সুমিত্রা। সেই সময় উঠোনে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। জলের তোড়েই ভেসে এসেছিল সে ব্যাগ। কৌতূহলের বশে ব্যাগ খুলেই চোখ কপালে উঠল ওই মহিলার। ব্যাগের ভিতর থেক পেলেন সোনা-রূপার অলঙ্কার থেকে শুরু করে সোনার ছোট ছোট কয়েন। যদিও সুমিত্রা তা লুকিয়ে ফেলননি। নিজের কাছেও রাখতেও চাইছেন না। তিনি সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন সোনাদা পঞ্চায়েতের সদস্যদের। প্রতিবেশীদেরও জানান, এমন একটি ব্যাগ পেয়েছেন।

খবর পেয়ে সুমিত্রার বাড়িতে যান পঞ্চায়েত সদস্য নর্দেন শেরপা । তিনি বলেন, ‘‘অন্তত সাত আট লক্ষ টাকার সোনার গয়না পেয়েছেন সুমিত্রা। তিস্তার স্রোতে কোথা থেকে ভেসে এসেছে, জানি না। তবে চিন্তার কোনও কারণ নেই। এই অলঙ্কার আপাতত সুমিত্রাদেবীর কাছেই থাকবে। কেউ যদি উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে বলতে পারেন যে, এই সোনা, তা হলে তাঁকে এই সোনা দিয়ে দেওয়া হবে।’’ আর সুমিত্রা এই গয়না নিয়ে বলেন, ‘‘বাড়ি থেকে পলিমাটি সরানোর সময় একটা ব্যাগ পাই। ব্যাগের ভিতর থেকে সোনা আর রূপোর অলঙ্কার পাই।’’ সুমিত্রা জানান, অন্যের অলঙ্কার নিজের কাছে রাখতে চান না তিনি। যাঁর গয়না, তিনি যেন প্রমাণ দিয়ে নিয়ে যান।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৪ অক্টোবর সিকিমে মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বানের ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। প্রচুর সরকারি এবং ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। এখন উদ্ধারকাজ যেমন চলছে, তেমনই চলছে রাস্তাঘাট ঠিক করার কাজ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement