জেলা সভাধিপতির ভাগ্নের বিরুদ্ধে অভিযোগ। —নিজস্ব চিত্র।
লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন জেলা সভাধিপতির ভাগ্নে। তরুণীর সঙ্গে নিয়মিত সহবাস করেছিলেন। এমনকি গর্ভপাত করতেও বাধ্য করেছিলেন। কিন্তু কখনই তরুণীকে স্ত্রীর মর্যাদা দেননি। জেলা সভাধিপতি সব জেনেও বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেননি। এমনই অভিযোগ তুলে মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেনের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন ওই তরুণীর আত্মীয়রা। অভিযুক্ত যুবক যে দূর সম্পর্কে তাঁর ভাগ্নে তা স্বীকার করে নিয়েছেন রফিকুল। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তিনি।
চাঁচলের এক তরুণীর অভিযোগ, জেলা সভাধিপতি রফিকুলের ভাগ্নে রাকিবুল ইসলামের সঙ্গে তাঁর বছর ছয়েকের সম্পর্ক। তাঁদের রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই তরুণী। তাঁর কথায়, ‘‘দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক। ও ওই সময়ে আমার পিছন পিছন ঘুরত। ছয় বছর প্রেমের পর আমরা রায়গঞ্জে গিয়ে বিয়ে করি রেজিস্ট্রি করে। কিন্তু বিয়ের পর বার বার বললেও ও আমাকে শ্বশুরবাড়িতে যেতে দেয়নি। ছেলের বাবা-মাও আমাকে মানতে চান না। ওর সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্কও হয়েছে। ও আমাকে গর্ভপাত করাতেও বাধ্য করেছে। এই পরিস্থিতিতে আমি যদি অন্য কাউকে বিয়ে করতে চাইলেও ও আমাকে খুন করে ফেলার হুমকি দিচ্ছে।’’
তরুণীর এক আত্মীয়ের অভিযোগ, সব জেনেও বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইছেন রাকিবুলের মামা জেলা সভাধিপতি রফিকুল। সোমবার এ নিয়ে জেলা সভাধিপতির বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখান ওই তরুণীর আত্মীয়রা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওদের অভিযোগ ভিত্তিহীন। ওরা রেজিস্ট্রি বিয়ে করেছে তিন বছর আগে। ওরা এখন আইনত স্বামী-স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে আজ আলোচনায় বসার কথা ছিল। কিন্তু অনেক লোকজন থাকায় সেই আলোচনা হয়নি। তাই ওঁদের বলেছি এ নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করতে বলেছি।’’