অজয় এডওয়ার্ড। ফাইল চিত্র।
দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে যোগ দেওয়া নিয়ে হামরো পার্টিতে আলোচনা শুরু হল। হামরোর সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড দলে জানিয়েছেন, অনাস্থা ভোটে যোগ না দিলেও দল চেয়ারম্যান নির্বাচনে নামতে পারে। শেষ অবধি তা হলে নতুন চমক তৈরি হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অনুমান।
হামরো পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র দীপু থাপা বলেন, ‘‘অনাস্থা ভোটের ক্ষেত্রে আমরা যাইনি। কিন্তু চেয়ারম্যান ভোটে যোগদান নিয়ে আলোচনা চলছে। সভাপতি বিভিন্ন স্তরে কথা বলছেন। ঠিক সময়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’’
অনাস্থা প্রস্তাবে হামরো পার্টি এবং জনমুক্তি মোর্চা যোগ দেয়নি। আপাতত পুরসভায় প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং তৃণমূলের জোটে ১৬ জন কাউন্সিলর এবং হামরো ও জনমুক্তি মোর্চার জোটে ১৫ জন। এক বা দু’জন উল্টো পথে হাঁটলে ফের পটবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। রণনীতি নিয়ে বৈঠক চলছে প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার শিবিরেও। দলীয় সূত্রের খবর, হামরো পার্টির জোটের আরও এক কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা চলছে। মোর্চার সভাপতি অনীত থাপার দাবি, ‘‘আমরাই নতুন বোর্ড গঠন করব। আরও অনেকে আমাদের পাশে আসতে পারেন।’’
পাহাড়ের কিছু নেতা মনে করছেন, প্রজাতান্ত্রিক মোর্চায় যোগ দেওয়া হামরো পার্টির ছয় কাউন্সিলরের কেউ ঘরে ফিরলেই ‘খেলা’ পাল্টে যেতে পারে। বিমল গুরুংয়ের দলের তিন কাউন্সিলর হামরোর দিকে থাকলেও, তাঁদের নিয়ে নানা কথা রটছে। ফলে, চেয়ারম্যান নির্বাচনে কী দাঁড়়াবে, তা সে দিনই পরিষ্কার হবে।
এরই মধ্যে সাংসদ রাজু বিস্তা পাহাড়ে রাস্তা তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন। শুক্রবার তিনি গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহের কাছে ওই দাবি জানান। এই অভিযোগ নিয়ে অনীত থাপারা মন্তব্য করেননি।