পুরসভার পরীক্ষার সেই প্রশ্নপত্র
সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষকে কবে গ্রেফতার করা হল? রবিবার শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মী নিয়োগের পরীক্ষায় এই প্রশ্ন নিয়েই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কেন এমন প্রশ্ন রাখা হয়েছে, এই প্রসঙ্গ তুলে হইচই শুরু করে বিরোধী তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, বামেদের পুরসভা ইচ্ছে করেই এমন প্রশ্ন রেখেছে। তাদের আরও বক্তব্য, এ ধরনের প্রশ্ন রেখে নিম্নরুচির পরিচয় দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। রাজনীতি সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকতেই পারে। কিন্তু প্রশ্নপত্রে কোনও বিষয় নিয়ে এ ভাবে রাজনীতি করা কাম্য নয় বলে নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা নান্টু পাল।
মেয়র অশোক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, ‘‘পুরসভার বাইরের লোকদের নিয়ে একটি কমিটি এই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছে। তাতে মেয়র পারিষদদের কারও হাত ছিল না। আমরা কিছু জানতামও না।’’
সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে যখন প্রথম হইচই শুরু হয়, তার কিছু দিন পরে গ্রেফতার করা হয় কুণাল ঘোষকে। তিনি তখন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ। তিন বছর আগের সেই ঘটনার প্রসঙ্গই এ দিন শিলিগুড়িতে হইচই বাঁধিয়ে দেয়। কুণালকে গ্রেফতার করেছিল রাজ্যের পুলিশ। এর এক বছর পরে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী মদন মিত্রকে একই অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। দু’জনেই এখনও বিচারাধীন বন্দি। ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের সময় এই কেলেঙ্কারিকে অন্যতম অস্ত্র করে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছিল কংগ্রেস-সিপিএম। যদিও শেষ পর্যন্ত ভোটবাক্সে সেই প্রচারের প্রতিফলন বিশেষ দেখা যায়নি।
এ দিন বিষয়টিকে ‘ইচ্ছে করেই খুঁচিয়ে তোলা হয়েছে’ বলে অভিযোগ করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে। পুরসভার দাবি, সাংসদ গ্রেফতারের ঘটনা কম বলেই এটা সাধারণজ্ঞানের প্রশ্নে রাখা হয়েছে। তাতে আপত্তির কিছু আছে বলে তারা মনে করছে না। কিন্তু নান্টুবাবুর অভিযোগ, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষ যে সব বিষয়েই রাজনীতি করছেন, এ থেকেই সেটা স্পষ্ট।’’
পুরসভার এক সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল আর্বান লাইভলিহুড মিশন প্রকল্পে অ্যাকাউন্টেন্ট পদে নিয়োগের পরীক্ষায় সাধারণজ্ঞানের প্রশ্নে কুণাল ঘোষ সম্পর্কিত প্রশ্নটি রয়েছে।