Jalpaiguri

সীমান্তবর্তী বহু এলাকায় প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি সদর, ধূপগুড়ি এবং ময়নাগুড়ি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪২
Share:

প্রার্থী পাচ্ছে না বিজেপি। প্রতীকী চিত্র।

সম্ভাব্য পঞ্চায়েত প্রার্থীদের নাম লেখার অন্তত ৩০০টি ‘ঘর’ ফাঁকা রাখা রিপোর্ট নিয়েই আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্য বিজেপির বৈঠকে যাবেন জলপাইগুড়ির নেতারা। কারণ, ওই ফাঁকা ঘরগুলিতে নাম লেখার মতো কাউকে এলাকায় পায়নি বিজেপি। অর্থাৎ, ওই সব এলাকায় বিজেপির প্রার্থী হতে রাজি নন কেউ। এলাকাগুলি বেশির ভাগই সীমান্তবর্তী।

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ, জলপাইগুড়ি সদর, ধূপগুড়ি এবং ময়নাগুড়ি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। সম্প্রতি দলের একাধিক জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল। সেগুলিও এই সব সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বিজেপি করতে পারেনি বলে দাবি। দলের রিপোর্ট, জেলার অন্তত ২৫ শতাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে প্রার্থী করার মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তার অধিকাংশই সীমান্তবর্তী এলাকার বুথ। দলের অভিজ্ঞ নেতাদের দাবি, এর কারণ, এখনও সীমান্ত এলাকায় তাড়া করে বেড়াচ্ছে ‘এনআরসি’ (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি)-র আতঙ্ক। তবে জলের জেলা নেতৃত্ব তা মানতে নারাজ।

সীমান্ত এলাকায় দলের কেন এমন হাল, তা বোঝাতে একটি উদাহরণও বিজেপির রিপোর্টে রয়েছে। ২০২১ সালে জলপাইগুড়ির বাহাদুর, গড়ালবাড়ি, বেরুবাড়ির সীমান্তবর্তী বেশির ভাগ বুধে দল ভোট পেয়েছে ৫০টিরও কম। সে তথ্য দেওয়া হয়েছে। কোথাও কোথাও বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দশেরও কম। দলের এক নেতার কথায়, “অনেকেই ভাবছেন, এনআরসি হলে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে। তাই বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন।” জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের এক প্রবীণ বিজেপি নেতারও দাবি, মূলত ‘এনআরসি’-র ভয়ই এর পিছনে কাজ করছে। যে সব এলাকায় সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি, সেখানে বিজেপির সংগঠন নেই বলে দাবি। ওই নেতার কথায়, “এক সময় দলের সংগঠন ভালই ছিল। কিন্তু এনআরসি নিয়ে প্রচারের জেরে, গত বিধানসভার আগে থেকে সংগঠন প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে। এতটাই খারাপ অবস্থা যে, দলের কর্মসূচিও হয় না।”

Advertisement

বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, কর্মসূচি রূপায়ণ করার মতো লোকেরও অভাব রয়েছে। আগামী ১৩ এপ্রিলের বৈঠকে জেলার পঞ্চায়েতের সব আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম লিখে নিয়ে যেতে হবে বলে নির্দেশ এসেছে। তাতেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বিজেপি নেতারা। কারণ, সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম লিখলে সঙ্গে ফোন নম্বরও দিতে হবে। কাজেই, নামের ঘর ফাঁকা রাখারই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী অবশ্য দাবি করেন, “তৃণমূলের লাগাতার মিথ্যা প্রচার এবং সন্ত্রাসের কারণেই সংখ্যালঘু এলাকায় আমাদের পাশে দাঁড়াতে অনেকে ভয় পাচ্ছেন। তবে অবাধ নির্বাচন হলে, ভোট পাব।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপের পাল্টা কটাক্ষ, “বিভেদ তৈরি করা বিজেপিকে মানুষ বিশ্বাস করেন না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement