এই পোস্টার দেখা গিয়েছে শিলিগুড়ি শহরে। —নিজস্ব চিত্র।
পুরভোটের প্রাক্মুহূর্তে ‘নতুন’ ধরনের পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল শিলিগুড়িতে। বিজেপি-র প্রতীক দেওয়া ওই পোস্টারে তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই পোস্টার শহরে কারা দিয়েছে তা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতরও।
বুধবার শিলিগুড়ির রাজপথ থেকে অলিগলি ছয়লাপ হয়ে যায় ওই পোস্টারে। তাতে এক দিকে, অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং অন্য দিকে, লালকৃষ্ণ আডবাণীর ছবি আঁকা। তার নীচে লেখা, ‘পুরনো বিজেপি দিচ্ছে ডাক, এ বার শিলিগুড়িতে দিদিই থাক।’ তার নীচে লেখা, ‘গদ্দার হটাও বিজেপি বাঁচাও।’ নির্বাচনের আগে কারা এই ধরনের পোস্টার দিল তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের কথায়, ‘‘এটা শাসকদলের নতুন যাত্রাপালা। পুরনো বিজেপিকর্মীরা মেরুদণ্ডহীন নন যে অটলবিহারী বাজপেয়ী, দীনদয়াল উপাধ্যায় বা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে এই ধরনের পোস্টার দেবেন। যাদের ভোটে হারার সম্ভাবনা বেশি তারাই এই ধরনের কাজ করছে। প্রশাসনকে ঘটনাটি জানিয়েছি।’’
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি পাপিয়া ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সব রাজনৈতিক দল বুঝে গিয়েছে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখয়ে দিদিকেই চাই। বিজেপি-র যে সুমতি হয়েছে সে জন্য ধন্যবাদ জানাই। দিদির হাতে তারা শিলিগুড়ি তুলে দিতে চাইছে। এখন তারা নিজেদের দলকেও বিশ্বাস করছে না।’’
দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি পাপিয়া ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সব রাজনৈতিক দল বুঝে গিয়েছে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখয়ে দিদিকেই চাই। বিজেপি-র যে সুমতি হয়েছে সে জন্য ধন্যবাদ জানাই। দিদির হাতে তারা শিলিগুড়ি তুলে দিতে চাইছে। এখন তারা নিজেদের দলকেও বিশ্বাস করছে না।’’