প্রতীকী ছবি।
দ্বন্দ্ব মেটাতে নেতাদের ভাগ করে দিয়েছেন ওয়ার্ড। এমনকি, নিজেদের দখলে থাকা ওয়ার্ডেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নেতাদের। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওয়ার্ড বণ্টনের পরেও ইংরেজবাজার পুরসভায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব কতটা মিটবে তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে শহরে। তৃণমূলের একাংশের দাবি, ইংরেজবাজার পুরসভায় বোর্ড মিটিং হলেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন শাসক দলের দুই নেতা নীহাররঞ্জন ঘোষ এবং কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। দলনেত্রীর বার্তায় তাঁদের দ্বন্দ্ব কতটা মিটবে তাই এখন চর্চার বিষয়। যদিও দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করেন বলে একযোগে জানিয়েছেন নীহার এবং কৃষ্ণেন্দু।
মালদহ সফরে এলেই দলের নেতাদের একসঙ্গে চলার বার্তা দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছর পাঁচেক আগে জেলা সফর থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে মালদহ বিমানবন্দরে নেতাদের নাম ধরে ধরে একসঙ্গে চলার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেও জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ছবিটা বদলায়নি। বুধবার পুরাতন মালদহের সূর্যাপুরেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইংরেজবাজার শহরের দ্বন্দ্ব মেটাতে নেতাদের ওয়ার্ড ভাগ করে দিয়েছেন তিনি।
কৃষ্ণেন্দুকে ১, ৪, ৫, ৭, ৮, ৯, ১০, ১২, ১৯ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নীহাররঞ্জনকে ৩, ৬, ১৫, ১৬, ১৭ ও ২৩, দুলাল সরকারকে ১৪, ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৭, ও ২৮, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ২২ ও ২৬ এবং অম্লান ভাদুড়িকে ১১, ১৩, সুমলা আগরওয়াল এবং আশিস কুণ্ডুকে ২ এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নাম ধরে ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাদের ওয়ার্ডগুলির দায়িত্ব দেন।
তা নিয়েই জোর চর্চা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, কৃষ্ণেন্দু, নীহার, দুলালদের যে ওয়ার্ডগুলির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই ওয়ার্ডে তাঁদেরই অনুগামী কাউন্সিলরেরা রয়েছেন। ফলে অলিখিত ভাবে ওই ওয়ার্ডগুলি ওই নেতারাই পরিচালনা করেন। নিজেদের দখলে থাকা ওয়ার্ডগুলির দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন দলেরই নেতারা। তাঁদের দাবি, নেতারা যাতে অন্য ওয়ার্ডে না যান তার জন্য নেত্রী ওয়ার্ড ভাগ করে দিয়ে থাকতে পারেন। তবে তাতে কতটা কাজ হবে তা নিয়েই দলেরই অন্দরে সংশয় রয়েছে।
কৃষ্ণেন্দু বলেন, “আমি দলের সৈনিক। দলের নির্দেশ মেনেই কাজ করি।” নীহারও এক সুরে বলেন, “দল যে ভাবে চলার নির্দেশ দেবে, সেই ভাবেই চলব।”