বিলি হচ্ছে টুকলি। —নিজস্ব চিত্র।
পরীক্ষা শুরু আগে টুকলি ভাগ করে নিচ্ছে বন্ধুরা! সোমবার এমনই ছবি ধরা পড়ল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল চত্বরে। ওই স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে এসেছিল স্থানীয় চটহাট উচ্চতর বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে দুই কিশোরকে দেখা যায় নিজেদের মধ্যে নকল ভাগ করে নিতে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা।
মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে, এই আশঙ্কায় পরীক্ষা চলাকালীন কিছু কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, সোমবার থেকে পরের সপ্তাহের বুধবার পর্যন্ত অর্থাৎ আট দিন (বৃহস্পতি এবং রবিবার স্বাভাবিক থাকবে পরিষেবা) ওই এলাকাগুলিতে চার ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট পরিষেবা। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হরফে হাতে লেখা টুকলি বা ওই রকম হরফের ফোটোকপি (মাইক্রোজেরক্স হিসাবে যা পরিচিত) ভরসা ‘দুষ্টু’ পড়ুয়াদের। অফলাইনে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতেই সেই ছবি ফিরে এল। সোমবার ছিল মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা। ফাঁসিদেওয়া উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে মাতৃভাষার পরীক্ষা দিতে আসা দুই পড়ুয়াকে টুকলি ভাগ করে নিতে দেখা গিয়েছে।
শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫ হাজার ১৩৮ জন। ওই শিক্ষা জেলায় মোট ১০টি পরীক্ষাকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনটি পরীক্ষাকেন্দ্র শিলিগুড়িতে , বাকিগুলি মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি এলাকায়। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন৷ পরীক্ষা শুরুর আগে শিলিগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকার শিবমঙ্গল স্কুলে পরিদর্শনে যান পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। স্কুল চত্বর থেকে দুই সন্দেহজনক ব্যক্তিকে আটক করেন তিনি।