দুপুর ১২টার পরে বালুরঘাটের ডানলপ মোড়ে দেওয়া হয়েছিল পুলিশের ব্যারিকেড। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ব্যারিকেড সড়িয়ে অবাধে যাতায়াত। নেই নজরদারিও। ছবি: চিরঞ্জীব দাস
মালদহ
নজরে নেই গার্ডরেল:
দুপুর ২টো বেজে যাওয়ার পরে ইংরেজবাজার শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে গার্ডরোল দিয়ে রাস্তা আটকে দিল পুলিশ। অকারণে ওই পথে আর কারও যাতায়াত করার কথা নয়। কিন্তু দুপুর গড়ালেও গার্ডরোলের পাশ দিয়েই চলল যাতায়াত।
সচল বাজার:
বেলা ১১টা বাজতে তখন মিনিট দশেক বাকি। লকডাউন বিধি মেনে ১১টায় আনাজ বাজার বন্ধ হওয়ার কথা। তার আধঘণ্টা আগে কেনাকাটা বন্ধ করার কথা। কিন্তু বেলা সওয়া ১১টাতেও বদলাল না ছবি। ইংরেজবাজার শহরের দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন মার্কেটে। আনাজ বিক্রেতাদের চোখ কিন্তু ঘুরল এ দিকে-ও দিকে। পুলিশ চলে না আসে।
উধাও মাস্ক:
গাজোল থেকে একটি বেসরকারি বাস এসে থামল রথবাড়িতে। মহিলা যাত্রীরাই বেশি নামলেন। কয়েক জনের কোলে শিশুও। কিন্তু কারও মুখেই মাস্ক নেই। মাস্ক নেই কেন? এক মহিলার জবাব, কাজ নেই, মাস্ক কেনার টাকা পাব কোথায়?
দক্ষিণ দিনাজপুর
কন্টেনমেন্ট জ়োনে লকডাউন কড়াকড়ি করতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ উদ্যোগী হয়েছে। অভিযোগ, সেখানে মানা হচ্ছে না সরকারি বিধিনিষেধ। তা মোকাবিলায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর ও বুনিয়াদপুর শহর ছাড়াও যে সব অঞ্চলকে কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানকার বাসিন্দাদের অধিকাংশই বিধি মানছেন না। অভিযোগ, রবিবার বালুরঘাটের বাজারে বিধি ভেঙেই প্রচুর মানুষ ভিড় করেছেন। পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে অবাধে যাতায়াত করেছেন অনেক বাসিন্দা। শহরে টোটো চলাচল সরকারি ভাবে বন্ধ থাকলেও সেই নির্দেশ মানেননি অনেকেই। ফলে কড়া লকডাউন তেমন ভাবে চোখে পড়েনি বলে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি৷ জেলার পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ অমান্য করলেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাসিন্দাদের কাছে আবেদন কন্টেনমেন্ট জ়োনের নিয়ম মেনে চলুন।’’
উত্তর দিনাজপুর
রায়গঞ্জ শহরের কাঞ্চনপল্লি এলাকার কন্টেনমেন্ট জ়োনে প্রশাসনের নজরদারি ছিল না বলে অভিযোগ। যদিও কন্টেনমেন্ট জোনের মুখে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, নজরদারি না থাকায় বাসিন্দাদের অনেকে বাঁশ টপকে বা ব্যারিকেডের ফাঁকা অংশ দিয়ে অবাধে যাতায়াত করছেন। রবিবার দুপুরেও তেমন ছবি দেখা গিয়েছে। রায়গঞ্জ শহরের পূর্ব নেতাজিপল্লির কলোনি এলাকাকে প্রশাসন কন্টেনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির আশপাশের এলাকা বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এ দিনও বাসিন্দাদের ওই এলাকা থেকে অবাধে যাতায়াত করতে দেখা যায়। রায়গঞ্জের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘কন্টেনমেন্ট জোন এলাকায় বাসিন্দাদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে। পুরসভার তরফে ওই জোনের বাসিন্দাদের বাড়িতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।’’
ঘুরে দেখলেন: অভিজিৎ সাহা, অনুপরতন মোহান্ত ও গৌর আচার্য