কড়া: দোকান বন্ধ করতে নির্দেশ পুলিশের। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনে ছাড় মিলেছে ভেবে সোমবার সকাল থেকে গৌড়বঙ্গের ‘গ্রিন জোন’ দুই জেলা উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের কাপড়-জুতো-বাসন থেকে মনিহারি যাবতীয় সামগ্রীর দোকান খুলে বসেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। লাঠি উচিয়ে সব জায়গায় গিয়ে পুলিশ দোকান বন্ধ করে দেয়।
অন্য দিকে, রবিবার ব্যাপক ধরপাকড়ের পরেও ‘রেড জোন’ মালদহে এ দিন সকালে দোকানের ঝাঁপ খুলতে শুরু করেছিলেন কাপড়, জামা, জুতোর দোকানিরা। পুলিশি অভিযানে মুহূর্তে সব দোকানের ঝাঁপ পড়ে যায়। বালুরঘাট শহরে মাস্ক না পড়ে বের হলেই বাসিন্দাদের রাস্তায় আটক করে পুলিশ। তাঁদের সতর্ক করে পুলিশের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
সোমবার নরমে গরমে গৌড়বঙ্গের তিন জেলার দোকান খোলা নিয়ে ছিল এমনই টানাপড়েনের ছবি। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানান, লকডাউনে ছাড় নিয়ে এ দিন বিকেল পর্যন্ত নবান্ন থেকে কোনও নির্দেশ আসেনি। মালদহের পুলিশ জানায়, রবিবার শুধুমাত্র ইংরেজবাজার শহরেই লকডাউন ভাঙায় গ্রেফতার করা হয় ৫১ জনকে। জেলা জুড়েই পুলিশি টহলদারি চলে।
সরকারি অফিস খোলা থাকলেও কর্মীদের হাজিরা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই কম বলে জানান প্রশাসনের এক আধকারিক। মালদহে দু’জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে মালদহকে। ফলে এখনও জেলায় পরিবহণ চলাচলে ছাড় নেই। এতে কর্মীদের অফিসে আসতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এ দিনও সকাল থেকে মোহনবাটি, দেবীনগর, বন্দর, গোশালা, কলেজপাড়া, চণ্ডীতলা, সুভাষগঞ্জ, কর্ণজোড়ার মতো বিভিন্ন বাজারে ভিড় উপচে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজ্য সড়কে শয়ে শয়ে মোটরবাইক, টোটো, সাইকেল, রিকশা-সহ বিভিন্ন যানবাহন চলে। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারের বক্তব্য, ‘‘লকডাউনে কী কী ছাড় দেওয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে পুলিশ ও প্রশাসনের কাছে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের কোনও নির্দেশিকা আসেনি। ফলে দোকানিদের সতর্ক করা হয়।’’
বালুরঘাটের অতিরিক্ত জেলাশাসক রঞ্জনকুমার ঝাঁ জানান, এ দিন থেকে কোন কোন দোকানে ছাড় দেওয়া হয়েছে তার সরকারি নির্দেশকা এখনও আসেনি। ফলে দোকানিরা দোকান খুলে বসতেই পুলিশ গিয়ে ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)