ধরপাকড়: লকডাউনে পুলিশি অভিযান। শিলিগুড়ি প্রধাননগর থানার চম্পাসারি এলাকায় শনিবার। ছবি: স্বরূপ সরকার।
শনিবার ছিল রাজ্যব্যাপী লকডাউন। এ দিনও বিধি ভেঙে রাস্তায় বেরোলেন দুই শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। সক্রিয় ছিল পুলিশও। কোথাও পুলিশ তাড়া করে ভিড় সরাল, কোথাও নিয়ম ভাঙায় করা হল গ্রেফতার।
শিলিগুড়ি
লকডাউনের দিন চম্পাসারি মোড় এলাকায় খুলেছিল চায়ের দোকান। পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করে দোকানদারকে, গ্রেফতার করা হয় চা খেতে আসা এক ব্যক্তিকেও। শ্রীগুরু বিদ্যামন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে দু’টি মাংসের দোকান খোলা ছিল, ক্রেতারাও ছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাড়া করে ভিড় সরিয়ে দেয়। এ দিন সকালে জংশন মোড়ে কোচবিহারের বাস খুঁজছিলেন নারায়ণ দাস। তিনি জানালেন, এ দিনই কলকাতা থেকে ফিরেছেন। বাসের অপেক্ষায় ছিলেন আরও কয়েকজন। অনেকেরই মাস্ক ছিল গলায় ঝোলানো। এ দিন টোটো নিয়ে চম্পাসারি মোড় থেকে বের হতে গিয়ে ধরা পড়েন এক চালক। এ দিন বিধান মার্কেট এলাকায় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও রাস্তায় আখের রস বিক্রি করছিলেন চিন্ময় রায়, ছিলেন ৩ জন ক্রেতাও। কিছুটা এগিয়ে হাসমিচক ট্রাফিক পয়েন্টে পুলিশের নাকা চলেছে। বাইক, গাড়ি আটকে পুলিশ জেরা করেছে। ট্রাফিক স্ট্যান্ডের উল্টো দিকে হিলকার্ট রোডের পাশে কয়েকজনকে মাস্ক হাতে নিয়ে বসে থাকতেও দেখা গিয়েছে। বাগডোগরা, মাটিগাড়া, এনজেপি, প্রধাননগর, ভক্তিনগর থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে এ দিন ১০৪ জন গ্রেফতার হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি নিমা নরবু ভুটিয়া বলেন, ‘‘অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’
জলপাইগুড়ি
ঘড়িতে সকাল পৌনে এগারোটা। জলপাইগুড়ির রাজবাড়ি পাড়ার এক ব্যক্তি মোটরবাইক নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরিয়েছিলেন। পুলিশের গাড়ি এসে থামতেই বাইক ফেলেই দৌড়ে লাগান ওই ব্যক্তি। অবশেষে পুলিশ তাঁকে ডেকে এনে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠায়। লকডাউনে পিকনিক হবে খবর পেয়ে দিনবাজারে নজরদারি বাড়ায় পুলিশ। ঘড়িতে তখন প্রায় পৌনে একটা। ইন্দিরা গাঁধী কলোনি বাজার এলাকায় রাস্তার ধারে বসে তাস খেলছিলেন কয়েকজন। আচমকা পুলিশ দেখে দৌড় দেন তাঁরা। একজনকে ধরে পুলিশ। ধৃত যুবক কান্নাকাটি করে পুলিশের পায়ে ধরলেও তাঁকে ধরে গাড়িতে তোলে পুলিশ। বেগুনটারি মোড়, কদমতলা, কামারপাড়া, হাসপাতাল পাড়া, রায়কতপাড়ায় পুলিশের টহল ছিল। জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, লকডাউন ভাঙায় জেলায় ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।