বরফের সাদা চাদরে ঢাকা হিমাচল। ছবি: পিটিআই।
নতুন বছরের শুরুতেও হিমাচল প্রদেশে ভারী তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। হিমালয় অঞ্চলে তুষারপাতের জেরে এই রাজ্যেও তার প্রভাব পড়ছে। তবে একটি পশ্চিমি ঝঞ্ঝাও তৈরি হয়েছে। যার জেরে তুষারপাতের পাশাপাশি বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
২৭-২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটকদেরও সতর্ক করা হয়েছে। হিমাচলে আসার আগে প্রতি দিনের আবহাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তুষারধস প্রবণ এলাকাগুলি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হিমাচলের উপরিভাগে তুষারপাত হলেও নীচের অঞ্চলগুলিতে কুয়াশা এবং বৃষ্টি চলবে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুক্রবার এবং শনিবার হিমাচলের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বৃষ্টি এবং পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হবে। ২৯ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তুষারপাত হতে পারে। রাজ্যের ৮৭টি রাস্তায় যান চলাচল শুরু হয়েছে। এখনও ৭০টি রাস্তা বন্ধ। মানালি-লেহ জাতীয় সড়ক বন্ধ রয়েছে। তাবোতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১২ ডিগ্রির নীচে। কুকুমসেরিতে হিমাঙ্কের ৭ ডিগ্রি নীচে, মানালিতে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের এক ডিগ্রি নীচে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করেও হিমাচলে পর্যটকদের ঢল মেনেছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৪৮ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন হিমালয় অঞ্চলের এই রাজ্যে।