প্রতীকী ছবি।
লকডাউন চলার মধ্যেই বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে শর্ত মেনে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্য প্রশাসন। সেই নিয়ম মেনেই শিলিগুড়ি শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায় শুরু হল কাজ। সোমবার হাতে গোনা কিছু জায়গায় একশো দিনের কাজ, কৃষি ভিত্তির শিল্পের কাজ শুরু হয়েছে। পুরসভার কয়েকটি বিভাগ ও রাজ্য সরকারের কিছু অফিসে কাজ শুরু হয়েছে। তার পাশাপাশি নিয়ম মেনে লকডাউন বজায় রাখার জন্য নজরদারিও করেছে পুলিশ। তবে এ দিনও বহু জায়গায় বিধি ভাঙার ছবি দেখা গিয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ফাঁসিদেওয়ায় গৃহ নির্মাণ এবং মাটিগাড়ায় নার্সারিতে ১০০ দিনের কাজ হয়েছে। মহকুমা পরিষদ, শিলিগুড়ি পুরসভা, এনটিপিসি, এনএইচপিসি, পর্যটন দফতরের মতো কিছু অফিসে হাতে গোনা লোক দিয়ে কাজ শুরু হয়। আমবাড়িতে একটি পাঁপড়, কর্নফ্লেক্স কারখানা, ফুলবাড়িতে খাদ্যদ্রব্য, গুঁড়ো সাবানের কারখানা খুলেছে। জটিয়াখালিতে বোতলজাত পানীয় জল, তেলের বোতল করাখানা খুলেছে। চুনাভাটিতে ছোট ছোট কারখানাগুলি খুলেছে। আমবাড়ি শিল্প তালুকে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া সেবক রোডে একটি প্যাকিং পণ্যের কারখানা, খালপাড়ায় ডালমুট কারখানায় কাজ শুরু হয়েছে এ দিন। বিধাননগর এবং বানিয়াপাড়ায় দুটি খাদ্যদ্রব্যের বস্তা তৈরি কারখানা চালু হয়েছে। সবক্ষেত্রেই সুরক্ষা বিধি মেনে কাজ হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে লকডাউন চলছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ মতো কিছু ছাড় এ দিন থেকে রয়েছে। তবে কারখানা খোলার আবেদন করতে হবে, রাজ্য সরকার খতিয়ে দেখেই প্রয়োজনীয় অনুমতি দেবে।’’
শিলিগুড়িতে পুরসভার কর, প্ল্যানিং বিভাগ বা মহকুমা পরিষদের ১০০ দিনের কাজের সেল চালু থাকলেও বাইরের লোকজন খুবই কম ছিল। ব্লক বা জনস্বাস্থ্য কারিগরির মতো কয়েকটি অফিসে কর্মীদের মধ্যে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ২৫ শতাংশ হাজিরার কথা বলা হয়েছে। বেশিরভাগ অফিসেই কর্মীদের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা রয়েছে।
নর্থবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সুরজিৎ পাল বলেন, ‘‘মুখ্য সচিবের অনুমতিক্রমে কারখানাগুলি খোলার ছাড়পত্র এসেছে। তবে মালিকপক্ষকে সাবধানে নিয়ম মেনে কাজ করাতে হবে। সরকার বলে দিয়েছে, কারখানা খোলার পর কোথাও কোনও সংক্রমণ বা সামজিক সমস্যা হলে সমস্ত দায়ভার মালিকপক্ষকে নিতে হবে।’’
সোমবারও শহরে লকডাউনের বিধি ভেঙে ভিড় করার অভিযোগ উঠেছে। ফুলবাড়ি, শান্তিনগর, হাতিয়াডাঙা, গুরুংবস্তিতে লোকজন বাড়ির বাইরে ঘুরছেন বলে অভিযোগ। ৪, ৫, ৬, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় রাস্তায় বেরনো, আড্ডা দেওয়া চলেছে বলে অভিযোগ।