—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্য পর্যটন দফতরের পরিকল্পনা থেকে প্রকল্প রূপায়ণ, বিনিয়োগ থেকে পরিষেবা বাড়ানোর পথ খোঁজার মতো নানা দিশা দিতে এ বার বেসরকারি পেশাদার সংস্থার সাহায্য নিতে চলেছে সরকার।
প্রশাসন সূত্রের খবর, গত মাসের শেষে রাজ্য সরকারের অনুমোদনের পরে, পর্যটন দফতরের সাহায্যের জন্য পেশাদার সংস্থার খোঁজে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পরামর্শদাতা সংস্থাকে নিয়োগের পরে, প্রথমে ছ’মাসের কাজ দেওয়া হবে। তা সরকার এবং দফতরের পছন্দ হলে, দু’বছরের জন্য চুক্তিতে যাবে দফতর। লোকসভা ভোটের পরেই সব চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাম আমল থেকে তৃণমূলের শুরুর দিকেও সময়েও পর্যটন দফতর বিভিন্ন সময় পেশাদার সংস্থার সাহায্য নিলেও তা মূলত ছিল প্রচার, প্রসার বা ‘ব্র্যান্ডিং’ ঘিরেই। এই প্রথম সার্বিক দায়িত্ব কোনও সংস্থার হাতে দিতে চাইছে সরকার। রাজ্যের পর্যটন
দফতর ইন্দ্রনীল সেনের হাতে থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই দফতরের কাজে নজর রাখেন। দফতরের প্রধান সচিব নন্দিনী
চক্রবর্তী এখন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবও। সব মিলিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনার পরেই ‘কর্পোরেট’ সংস্থাকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর।
পর্যটন দফতরের এক যুগ্ম সচিবের কথায়, ‘‘বিভিন্ন সময়ে ওয়েবেল, টিসিএস বা রাইটসের মতো সংস্থা কাজ করেছে। এ বার গোটা দফতর, পর্যটন নিগমের সার্বিক কাজের জন্য সংস্থার খোঁজ শুরু হয়েছে।’’
দফতর সূত্রের খবর, পর্যটন দফতর এবং পর্যটন উন্নয়ন নিগমকে এক সঙ্গে ধরেই কাজের কথা টেন্ডারের প্রস্তাবে বলা রয়েছে। বেসরকারি সংস্থার প্রথম কাজ, পর্যটন-প্রচার বা ‘ব্র্যান্ডিং’ নতুন করে তৈরি করা। তার পরে থাকবে পর্যটন নিয়ে সরকারের প্রকল্প, নীতি তৈরি। পর্যটন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য তথ্যভান্ডার গড়া, ‘নেটওয়ার্ক’, বাণিজ্যিক বৈঠক, আলোচনাসভা ও প্রচারের পাশাপাশি, বিনিয়োগ টানার কাজও সংস্থাটিকে করতে হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পর্যটন উন্নয়ন নিগমের অতিথিনিবাস রয়েছে। সেগুলির পুরো বাণিজ্যিক ব্যবহার, সমীক্ষা করে নতুন নতুন আয়ের পথ তৈরির কাজও সংস্থাটিকে করতে হবে। এই সমস্ত কাজে সরকারি স্তরে সাহায্য দেওয়া হবে। তবে গোটা কাজ করতে সংস্থাটিকে পর্যটন বিশেষজ্ঞ, বিপণন বিশেষজ্ঞের মতো ১২ জনের অভিজ্ঞ দল গড়ে নিতেও বলা হয়েছে।