মাসুদ মিয়া। — নিজস্ব চিত্র।
মাদ্রাসা বোর্ডের হাই মাদ্রাসার পরীক্ষায় কোচবিহারে নজর কাড়ল দিনহাটার মুন্সিরহাট সাদেকিয়া হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থীরা। শনিবার মাদ্রাসা বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। দিনহাটার ওই মাদ্রাসার ৯২ জন পরীক্ষার্থীর ৯০ জন পাশ করেছে। তাদের মধ্যে তিন পরীক্ষার্থী নজর কাড়া ফল করেছে। ওই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জ়াকির হোসেন জানান, এ বছর মোট পরীক্ষা দেয় ৯২ জন। পাশ করে ৯০ জন। সাতশোর বেশি পেয়েছে দু’জন। জেলায় সম্ভাব্য প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় স্থান দখল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন পরীক্ষার্থী মাসুদ মিয়া, রিশান হোসেন ও মোস্তফা মিয়া। আলিম, ফাজিল পরীক্ষাতেও দিনহাটার পরীক্ষার্থীরা নজর কাড়া ফল করে তাক লাগিয়েছেন।
মাদ্রাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসুদের প্রাপ্ত নম্বর ৭১১। সে ভবিষ্যতে শিক্ষক হয়ে সমাজসেবার কাজ করতে চায়। রিশান হোসেনের প্রাপ্ত নম্বর ৭০৮। ওই কৃতীও ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায়। মাদ্রাসার আর এক ছাত্র মোস্তফা মিয়া ৬৯২ নম্বর পেয়েছে। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হতে চায় মোস্তফা। কোচবিহার সদর মহকুমার সুটকাবাড়ি এক্রামিয়া হাই মাদ্রাসা পরীক্ষার্থীর ৬৪ জনের মধ্যে পাশ করেছে ৫৮ জন। ওই হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হাবিব হোসেন জানান, তাদের সর্বোচ্চ নম্বর রুবিয়া পারভিন(৪৬৮)। তুফানগঞ্জের কদমতলা হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ৩৮ জন। পাশ করেছে ৩৬ জন। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে নার্গিস খাতুন (৬০৯)। ওই মহকুমার কৃষ্ণপুর বালাবাড়ি হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ১২ জন, সর্বোচ্চ নম্বর রহিম মিঁয়া (৫৪২)। পাশের হার একশো শতাংশ। কৃষ্ণপুরের বালাবাড়ি হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “পরীক্ষার্থীদের সবাই পাশ করেছে।” ঝাউকুঠি হাই মাদ্রাসার৪৫ জনের মধ্যে ৪২ জন পাশ করেছে। সর্বোচ্চ নম্বর কাজলি খাতুন (৫২৬)।
মাথাভাঙা হাই মাদ্রাসার পরীক্ষার্থী ছিল ২১ জন। সকলেই পাশ করেছে। ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক বাতেন আলি জানান, একশো শতাংশ হাই মাদ্রাসায় পাশ করেছে। সর্বোচ্চ তাজেদা খাতুন ( ৫৬৩)। জানা গিয়েছে, আলিম ও ফাজিল পরীক্ষাতেও কোচবিহারে নজরকাড়া ফল হয়েছে। দিনহাটার কুর্শামারি বিএফইউ সিনিয়র হাইমাদ্রাসার আলসেকর নাবিব ( ৬৪৮) জেলায় সম্ভাব্য প্রথম স্থানে রয়েছেন। ওই মাদ্রাসার মিজানুর রহমান(৫৮৬), রিজওয়ানা তব্বাসুম (৫৭১) জেলায় সম্ভাব্য দ্বিতীয়, তৃতীয়। ফাজিলে ওই মাদ্রাসার নেহা পারভিন (৪৭৪), আফসানা পারভিন (৪১৯), কুদ্দুস আলম (৪০৭) নম্বর পেয়েছেন। দিনহাটার ওই সিনিয়র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক নুরুল আলম কাসেমি বলেন, “আলিম ও ফাজিল পরীক্ষার ফলে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম তিন জন আমাদের প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া। এটা আনন্দের। বোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান পেলে আরও ভাল লাগত। সামগ্রিকআমাদের ফল ভাল হয়েছে।” (তথ্য সহায়তা: সঞ্জীব সরকার)