তুষারপাত: দার্জিলিঙয়ের সান্দাকফু এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।
সিকিম-সহ দার্জিলিং পাহাড়ের উঁচু এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে৷ সমতলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে বদল হয়েছে আবহাওয়া। সান্দাকফু, ফালুট থেকে মানেভঞ্জন সর্বত্র তুষারপাত হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সিকিমের লাচুং, লাচেন এবং নাথুলা বরফের চাদরে মুড়ে গিয়েছে। শিলাবৃষ্টিও হয়েছে পাহাড়ি উঁচু এলাকায়। আবহাওয়া দফতর বলছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সঙ্গে ঘূর্ণাবর্তের জোড়া প্রভাবে উত্তরবঙ্গে শুরু হয়েছিল তুষারপাত এবং শিলাবৃষ্টি।আজ, শনিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
দফতরের আধিকারিকেরা জানান, বাংলাদেশের উপর থেকে ঘূর্ণাবর্ত সরে গিয়েছে। তাই বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে উত্তরবঙ্গে। তবে উঁচু এলাকায় পরিস্থিতি বদল হতে কয়েক দিন সময় লাগবে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘শনিবার বৃষ্টি চলতে পারে পাহাড় এবং সমতলের কয়েকটি জায়গায়। কুয়াশার দাপট থাকবে আরও কয়ে কদিন।’’
উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে সকালের দিকে হালকা কুয়াশা এখনও থাকছে। পাহাড়ের কয়েকটি জায়গায় তুষারপাত চলছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার দার্জিলিঙের তাপমাত্রা কম রয়েছে। শৈলশহরে এখনও কিছু পর্যটক রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবেই দার্জিলিঙের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে। এতেই দার্জিলিঙের চেয়ে উচু এলাকায় এর মধ্যেই কয়েকটি জায়গায় তুষারপাত চলছে। সমতলেও আগামী কয়েক দিন বিক্ষিপ্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এ দিন দার্জিলিঙের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কালিম্পংয়ের তাপমাত্রা অবশ্য ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘুরেছে।
তবে সমতলে দিনে আগের থেকে ঠান্ডা কিছুটা কমেছে। শুক্রবারের আকাশ একটু বেশিই মেঘলা ছিল। সমতল শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ির মতো শহরে কয়েকদিন আগে সন্ধ্যায় যে কনকনে ঠান্ডা পড়়ছিল, তা কমেছে। দিনভর ঠান্ডা হাওয়ার দাপট চলছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ছাড়াও, গৌড়বঙ্গের জেলাগুলিতেও কুয়াশা দেখা মিলেছে। তবে মেঘাচ্ছন্ন পরিস্থিতি চলে গেলে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা জেলায় আরও একটু নামতে পারে বলে আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন। পাহাড়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পরে, তুষারপাতের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।