—প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলে আগেই পদত্যাগ করেছিল মালদহ জেলা তৃণমূলের ৫৬ সদস্যের সংখ্যালঘু শাখা। এ বার সেই সংখ্যালঘু শাখার চেয়ারম্যান তথা জেলা তৃণমূলের সম্পাদক নজরুল ইসলাম জানিয়ে দিলেন, তিনি দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন। দলত্যাগের চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী এবং রাজ্য সভাপতি তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর কাছে। শুধু নজরুলই নন, তাঁর বহু অনুগামীও সেই পথে হেঁটেছেন। এ ব্যাপারে সাবিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। কিন্তু তাঁর ফোন বন্ধ ছিল।
শুক্রবার দুপুরে মালদহ প্রেস কর্নারে সাংবাদিক বৈঠক করে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন নজরুল। তিনি বলেন, ‘‘যে ভাবে গোটা জেলায় দল পরিচালিত হচ্ছে, তাতে এই দলের আর অস্তিত্বই থাকবে না। এর পর রাস্তা দিয়ে হাঁটলে মানুষ চোর বলে ডাকবে।’’ এর পরেই রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন নজরুল। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। তার প্রতিবাদ জানিয়েই দলত্যাগের ঘোষণা করছি।’’
তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব অবশ্যে একে গুরুত্ব দিতে নারাজ। জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, ‘‘গ্রামের মানুষ নজরুলবাবুদের চায়নি। তাই প্রার্থী হতে পারেননি। প্রার্থী হতে না পেরে যাঁরা দল ছেড়ে দেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দলকে ভালবাসেন না।’’