মঞ্চে: নেত্রীর সঙ্গে মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান। ছবি: বিনোদ দাস।
গত বছর ৩ জানুয়ারি শেষবার শহরের রাস্তায় হেঁটেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সিএএ-এনআরসির বিরোধিতায়। রবিবারও তাঁকে দেখার জন্য একই রকম উৎসাহ দেখা গেল মানুষের মধ্যে। ছুটির দিন হলেও দিনভর জনসমাগমে জমজমাট ছিল রবিবার। হিলকার্ট জুড়ে রাস্তার দু'ধারে এ দিন তৃণমূল নেত্রীকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রচুর মানুষ। তার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা যেতে ‘দিদি দিদি’, ‘খেলা হবে’ স্লোগান শুরু হয়। অনেকেই ক্যামেরা হাতে ব্যারিকেডের ধারে ঝুঁকে পড়েন।
এক সময়ে দেখা যায়, মমতা হাঁটার মাঝেই ধারে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন, এগিয়ে গিয়ে হাত মেলান। তাঁর সঙ্গী তথা শিলিগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী ওমপ্রকাশ মিশ্রও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সেলফি তোলেন। হাত মেলান অনেকের সঙ্গে।
রবিবার মাল্লাগুড়ি থেকে ২টো নাগাদ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মিছিল শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। তার দু’ঘণ্টা আগে থেকে মাল্লাগুড়ি, জংশন, হিলকার্ট রোডে সাধারণ মানুষ অপেক্ষা করছিলেন তাঁকে দেখার জন্য। হাশমিচকে খুদেরাও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য বাবা-মায়েদের সঙ্গে এসেছিল। মুখ্যমন্ত্রীকে যাতে সাধারণ মানুষ দেখতে পান, সে জন্য দলও উদ্যোগী হয়েছিল। মিছিল শুরুর আগে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পুলিশকে বলেন, ‘‘নিরাপত্তা রেখে কড়াকড়ি শিথিল করুন, যাতে সবাই দেখতে পারেন নেত্রীকে।’’ উলুধ্বনি দিয়ে এ দিন মিছিল শুরু হয়। ২০১৬ সালে ভাইচুং ভুটিয়ার সমর্থনে এমনই মিছিল করেন মমতা। তবে ভাইচুং জিততে পারেননি।