পানীয় জলের অপচয় ধূপগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র।
ডুয়ার্সের একাধিক চা বাগানে যখন পানীয় জলের হাহাকার, তখন ধূপগুড়ি পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসের সামনে এন্তার নষ্ট হচ্ছে জল। সেখানে থাকা কল থেকে সব সময় জল পড়ে চলে যাচ্ছে নালায়। এ ব্যাপারে পৌর কর্তৃপক্ষ নীরব বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ধূপগুড়ি শহরের বেশির ভাগ পানীয় জলের কলগুলিতে স্টপকক নেই। যার জেরে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানীয় জল নষ্ট হয়। শহরের বিভিন্ন অলিগলি ছাড়াও ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসের সামনেও একই হাল। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ‘জল ধরো, জল ভরো’-র মতো প্রকল্প ঘোষণা করেছেন, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার জল সংরক্ষণের জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালাচ্ছেন, সেখানে খোদ শাসক দলের ভাইস চেয়ারম্যানের ঘরের সামনে এ ভাবে জলের অপচয় হওয়ার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, ২ মাসেরও বেশি সময় ধরে এই ভাবে পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে। এলাকার ব্যবসায়ী দীপক পাল বলেছেন, ‘‘প্রায় ৩ মাস এই ভাবেই পানীয় জল নষ্ট হচ্ছে। অবিলম্বে কলের মুখে স্টপকক লাগানো প্রয়োজন।’’ স্থানীয় বাসিন্দা কৈলাস মতুয়া বলেছেন, “প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি যাতে, এই কলগুলি দ্রুত ঠিক করা হয়।’’
এ বিষয়ে ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশকুমার সিংহের সাফাই, ‘‘পুরসভার তরফ থেকে সমস্ত কলগুলিতে ষ্টপকক লাগানো হলেও রাতের অন্ধকারে কিছু মানুষ সেগুলোকে খুলে নিয়ে যায়। পুরসভা কখনও চায় না, পানীয় জল নষ্ট হোক। এই বিষয়ে পুরসভার সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। আগামী দিনে এই বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে।’’ এখন দেখার, কত দ্রুত পৌরসভা পানীয় জলের অপচয় রোধ করতে পারে।