গৌতম দেব (বাঁ দিকে) ও অশোক ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র
মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধী কার?
শিলিগুড়ি শহরের এয়ারভিউ মোড়ের নাম বদল এবং সেখানে গাঁধীর মূর্তি বসানো নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। কয়েক দিন আগেই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানিয়ে দেন মহাত্মা গাঁধীর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁরা এয়ারভিউ মোড়ে গাঁধীর মূর্তি বসাবেন। মোড়ের নাম বদলে গাঁধীচক করা হবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার শিলিগুড়িতে নিজের দফতরে বৈঠক ডেকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব রাস্তা বা চকের নাম বদলের ক্ষেত্রে পুরসভার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। মন্ত্রীর দাবি, রাজ্যের অভ্যন্তরে পুরসভা বা অন্য যে কোনও সংস্থার হাতে থাকা রাস্তা, মোড়, পার্কের নামকরণ বা বদলের এক্তিয়ার একমাত্র রাজ্য সরকারের। সেক্ষেত্রে রাজ্য একটি পরামর্শদাতা কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটির কাছে প্রস্তাব জমা পড়লে তাদের সিদ্ধান্ত মতোই নামকরণ বা বদল হয়।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এয়ারভিউ মোড়ে তাঁর দফতরের পক্ষ থেকেই গাঁধীর মূর্তি বসানো হবে। গাঁধীর নামে মোড়ের নামকরণ করার জন্য পূর্ত ও নগরোন্নয়ন দফতরে তিনি নিয়ম মেনে চিঠি পাঠাবেন।
মন্ত্রীর ঘোষণার পরই তাঁর বিরুদ্ধে পুরসভার কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন মেয়র। তিনি বলেন, ‘‘উনি (গৌতম দেব) পর্যটনমন্ত্রী। রাস্তার নাম বদল বা মূর্তি বসানো তাঁর দফতরের বিষয় নয়। তিনি কেন সব বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন বুঝতে পারছি না। আমিও দীর্ঘ দিন মন্ত্রী ছিলাম। তাই নিয়মকানুন জানি। আমরা নিয়ম মেনেই সব কাজ করছি। উনি পুরসভার সব কাজেই অযাচিত ভাবেই বাধা দিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর বাধা দেওয়ার কথা জনগণের সামনে তুলে ধরব।’’
মূর্তি বসানোর বা রাস্তার নাম বদলের ইচ্ছে থাকলে এত দিন কেন মন্ত্রী সেই কাজ করেননি বা তাদের ঘোষণার পরই কেন মন্ত্রী হঠাৎ উদ্যোগী হলেন, তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন অশোক। তিনি আরও জানান, নতুন রাস্তার নামকরণ বা বদলের জন্য আইন মেনে পুরসভার সুনির্দিষ্ট কমিটি আছে, সেই কমিটির সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ হচ্ছে। যদিও মেয়রের প্রশ্নের কোন উত্তর দেবেন না বলেই জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘‘কে কি বলছেন জানি না। আমি আইনের কথা বলেছি। এয়ারভিউ মোড়ে যে দুটি রাস্তা মিশেছে দুটিই রাজ্য পূর্ত দফতরের। পুরসভা কোনও ভাবেই নাম বদলাতে পারে না।’’