—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তিস্তার এক নম্বর স্পারের ভাঙা অংশের মেরামতির কাজ প্রায় শেষ হতেই তিস্তার গতিপথ অনেকটা স্বাভাবিক। যা দেখে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন নদীবাঁধের উপরে আশ্রয় নেওয়া বানভাসিরা। নদীর জল আর না বাড়লে খুব শীঘ্রই ঘরে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশায় বুক বাঁধছেন পূর্ব ও পশ্চিম দলাইগাঁও ও সাহেববাড়ি-সহ বিস্তীর্ণএলাকার বাসিন্দারা।
বন্যা-কবলিত এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হওয়া নিয়ে শনিবার সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে বানভাসিদের ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী বুলু চিক বরাইক। সুখা মরসুমে বাঁধের নির্মাণ কাজের পরিবর্তে ভরা বর্ষায় বাঁধের কাজ, বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকা এবং বাঁধে আশ্রিতদের জন্য শৌচালয়ের ব্যবস্থা না-করার অভিযোগে মন্ত্রীকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক করার জন্য রবিবার কর্মীরা দিনভর কাজ করে চলেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বানভাসিদের রান্না করা খাবার দেওয়া হয়েছে।
তিস্তার জলোচ্ছ্বাসে জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে চাষিদের। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল সামাদ বলেন, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বানভাসিদের খাবার-সহ যাবতীয় পরিষেবা দেওয়া হবে।’’