বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মিঠুন ঘোষ নিজস্ব চিত্র।
বাড়ির বাইরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হল বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি মিঠুন ঘোষের। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, অসাবধানতার ফলেই গুলি লাগে মিঠুনের। এই ঘটনায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। মিঠুন হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরে আট ঘন্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বিজেপি।
রবিবার রাত ১০টা নাগাদ ইটাহার থানা এলাকায় রাজগ্রামে বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন মিঠুন। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা মিঠুনকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মিঠুনের পরিবার ও বিজেপি-র অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার অভিযোগ করেন, ‘‘মিঠুন এক জন লড়াকু নেতা ছিলেন। তাঁর কণ্ঠ রোধ করে বিজেপি-র আন্দোলনকে উত্তর দিনাজপুরে থামিয়ে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মিঠুনকে খুন করেছে। আমরা আইনের মাধ্যমে এর বিচার চাই। সোমবার জেলা জুড়ে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছি।’’
অন্য দিকে রায়গঞ্জ পুরসভার উপ-পৌরপতি তথা তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকার বলেন, ‘‘এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক। আমরা সঠিক ভাবে জানতে পারিনি কী হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। প্রশাসনের উপর আমাদের ভরসা রয়েছে। শীঘ্রই অপরাধী ধরা পড়বে। যে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার কড়া শাস্তি হবে।’’
মিঠুনকে গুলি করার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মহান্ত নামের দুই যুবকের। ইতিমধ্যেই সন্তোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার আর্ষ বর্মা বলেন, ‘‘অভিযুক্ত দু’জনেই মিঠুনের পরিচিত। রবিবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁরা একসঙ্গে ছিলেন। রাতে বাড়ির বাইরে সুকুমার ও সন্তোষকে দাঁড় করিয়ে মিঠুন বাড়ি থেকে দু’টি অস্ত্র এনে দেখান। তখনই অসাবধানসায় সুকুমারের বন্দুক থেকে গুলি বেরিয়ে মিঠুনের গায়ে লাগে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।’’ আদালতে পেশ করার সময় সন্তোষ জানান, তিনি গুলি চালাননি। তিনি সেই সময় সেখানেই ছিলেন। তবে কার বন্দুক থেকে গুলি চলেছে সেটা তিনি জানেন না বলেই দাবি করেছেন।