প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে থাকাকালীন অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন বলে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসাও চলছিল। তবে শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার দুপুরে ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তার। বন্দির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের ভিতর একসঙ্গে এতগুলি ঘুমের ওষুধ এল কী ভাবে? এই ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম জাকির হোসেন। কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মহকুমার ছোট কুচলিবাড়ির বাসিন্দা জাকিরকে ২০২০ সালের অক্টোবরে পকসো আইনের আওতায় একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০২১ সালের ১৪ ডিসেম্বর তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেয় মেখলিগঞ্জ দায়রা আদালত। এর পর থেকেই জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে জাকির।
বন্দির পরিবারের দাবি, ১৪ অগস্ট জাকিরকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। তবে সে খবর জানানো হয়নি তাদের। এমনকি, জাকিরের মৃত্যুর খবরও তারা জানাননি সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সংশোধনাগারে ফোন করলে বলা হয়, জাকিরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, তারা জানতে পেরেছেন ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় ওই ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের প্রশ্ন, সংশোধনাগারের ভিতর এত ঘুমের ওষুধ কোথায় পেল জাকির? এ নিয়ে সংশোধনার কর্তৃপক্ষের দিকেই অভিযোগে আঙুল তুলেছে জাকিরের পরিবার। তাদের আরও দাবি, চলতি মাসের ৬ তারিখ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জাকিরের সঙ্গে কথা হয়েছিল। সে সময় সে ভালই ছিল।তবে মঙ্গলবার সকালে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তার সঙ্গে কথা বলার জন্য আবেদন করলে কোনও সাড়া পাননি তারা। এর পরে বিকেলে সংশোনাগারে ফোন করলে বলা হয়, জাকির অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সে খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জাকিরের মা-বাবা এবং বোন। সেখানেই তার মৃত্যুর খবরও পান তাঁরা। অতিরিক্ত মাত্রায় ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণেই জাকিরের মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার সৌমিক সরকার বলেন, ‘‘আমি ছুটিতে রয়েছি। তবে ঘটনার কথা শুনেছি। কাজে যোগ দিয়ে দফতরের নিয়ম অনুসারে তদন্ত করা হবে।’’