— প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়ি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তাকে শৌচাগারে টেনে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। কিন্তু কী কারণে খুন? তা বুঝতে পারছেন না মৃতের পরিজন। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিপুল গুপ্ত শুক্রবার রাতের খাওয়া সেরে ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁর স্ত্রী ও ছেলে পাশেই একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। তাঁরা বাড়ি ফিরে দেখেন, বিপুল বিছানায় নেই। বাথরুমে আওয়াজ পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, দরজার তলা থেকে রক্ত গড়াচ্ছে। শুরু হয় ডাকাডাকি। বিপুলের স্ত্রী লক্ষ্মী গুপ্ত বলেন, ‘‘রাতে আমার স্বামী ঘরেই ঘুমোচ্ছিলেন। আমি ছেলেকে নিয়ে পাশে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে দেখি, স্বামী বিছানায় নেই। বাথরুম থেকে রক্ত বেরোচ্ছে। বাথরুমের দরজা ভেতর থেকে আটকানো। ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি। দরজা ভেঙে ঢুকে দেখি, স্বামীর গলায় দড়ি পেঁচিয়ে জলের কলের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে কেউ। পড়ে আছে স্বামীর নিথর দেহ। পরে রাম নামে পাড়ারই একটি ছেলে আমাদের হুমকি দেয়, কাউকে জানালে আমাদেরও একই ভাবে মেরে ফেলা হবে। বুঝতে পারি, রামই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু কেন সে এমন কাজ করল, তা বুঝতে পারছি না! ওর সঙ্গে আমাদের কোনও শত্রুতা নেই।’’
বছর ৪৫-এর বিপুল পেশায় ফেরিওয়ালা। অন্য দিকে, অভিযুক্ত রাম একটি হোটেলে মিষ্টি তৈরির কারিগরের কাজ করেন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে কী নিয়ে দ্বন্দ্ব, তা পরিবারের লোকজন বা প্রতিবেশীরা জানেন না। ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিলিগুড়ি থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়।
মৃত বিপুলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কাউন্সিলর বিবেক সিংহ। তিনি বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রামকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমরাও খবর পেয়ে চলে আসি। কী কারণে এই ঘটনা, তা এখনও আমাদের কারও কাছেই পরিষ্কার নয়। বিপুলের পরিবারের দাবি, খুনের কারণ নিয়ে তাঁরাও অন্ধকারে। আশা করছি, পুলিশি তদন্তে ধোঁয়াশা কাটবে।’’
ঘটনার বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি শুভেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। জেরায় খুনের কারণ সম্পর্কেও কিছু কিছু জানতে পেরেছি। কিন্তু এখনই তা বলা সম্ভব নয়। অভিযুক্তকে শিলিগুড়ি আদালতে তুলে হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানাব।’’