উৎসব: ভাণ্ডাণী পুজো শুরু উত্তরের নানা এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।
শারদ উৎসব শেষ হতেই আরেক উৎসবে মাতল উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। ময়নাগুড়ির বার্নিশ গ্রামে রবিবার দেবী পূজিত হলেন ভাণ্ডাণী রূপে৷ দিনভর প্রচুর ভক্তের সমাগম হল বার্নিশের গাবুরের বাড়ি গ্রামে৷ জল-কাদায় দাড়িয়ে ভক্তরা পুজো দিলেন দেবী ভাণ্ডাণীকে৷
চারদিন অসুরনাশিনী দেবী দুর্গা রূপে হওয়ার পর, ফিরে যাওয়ার পথে একাদশীর দিন দেবী ভাণ্ডাণী রূপে পূজিত হয়। উত্তরবঙ্গে দেবী ভাণ্ডাণীর চার হাত থাকলেও, ধূপগুড়ির জুড়াপানি গ্রামের রমেন রায়ের পারিবারিক দেবী ভাণ্ডাণী পূজিত হচ্ছেন দশ হাতে। অসুর নেই। এই বাড়ির দেবী ভাণ্ডাণীর ৯ হাতে ৯ টি অস্ত্র থাকলেও থাকে না ত্রিশুল। দুর্গা যে হাতে ত্রিশুল দিয়ে অসুর নিধন করেছিলেন দেবী ভাণ্ডাণী সেই হাতে সিংহের পিঠে বসে ভক্তদের আশীর্বাদ দিচ্ছেন।
এক সময় ভাণ্ডাণী কেবলমাত্র রাজবংশী সম্প্রদায়ের পুজো হিসাবে পরিচিত থাকলেও, এখন তার ব্যাপ্তি অনেকটাই বেড়েছে৷ বর্তমানে সমাজের নানা সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোয় সামিল হন৷
কথিত রয়েছে, দেবী দুর্গা কৈলাশে ফিরে যাওয়ার সময় ভক্তরা তাঁকে তাঁদের সুখ দূঃখের কথা জানাতে চেয়েছিলেন৷ একাদশীর দিন বার্ণিশের গ্রামে সেই সুযোগও পান ভক্তরা৷ তখন থেকেই সেখানে ভাণ্ডাণী পুজোর সূত্রপাত হয়৷ জানা গিয়েছে, দেবী যখন ভাণ্ডাণী রূপে এই গ্রামে যান তখন অনেকেই তাঁর কাছে শস্য রক্ষার আবেদন করেছিলেন৷ সে জন্যই এখনও অনেকে শস্য রক্ষার আর্জি নিয়েও এই পুজোয় সামিল হন৷ তবে দেবী এখানে অবশ্য দ্বিভুজা৷
বর্তমানে বার্ণিশে ভবেন্দ্রনাথ মল্লিকের পারিবারিক মন্দিরে এই পুজো হয়৷ মেলাও বসে৷ যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারও৷ শুধু, বৃষ্টি বা জলকাদা জন্য মেলায় দোকানের সংখ্যা এবার একটু কম এই যা৷