প্রতীকী ছবি
অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল রায়গঞ্জ থানার বরুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কাচিমূহা এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার একটি সংগঠনের সদস্যরা নতুন নাগরিকত্ব আইন বাতিল ও নাগরিকত্ব প্রমাণের বিভিন্ন নথির দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে ইটাহারে ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় দুষ্কৃতীরা তাঁদের একটি অটোর দিকে গুলি ও বোমা ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। তরোয়াল দিয়ে কয়েক জনকে আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ। তাতে ওই সংগঠনের তিন সদস্য-সহ ছ’জন জখম হন। সেই হামলাতেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা, তা দেখছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, উত্তর কলেজপাড়ায় হামলার জায়গা থেকে কিলোমিটার দশেক দূরে এ দিন পঞ্চাশোর্ধ ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাতে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তা-ই ওই হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়নি বলেই প্রাথমিক ভাবে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই হামলায় জড়িত সন্দেহে এ দিন রায়গঞ্জের রাড়িয়া ও কলেজপাড়া এলাকার দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম কৃষ্ণ পাল ও প্রদীপ রাউত।
অন্য দিকে, ওই হামলা ঘিরে এ দিনও উত্তর কলেজপাড়া লাগোয়া বরুয়া ও বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছিল। এ দিন সে সব এলাকা পরিদর্শন করেন রাজ্য পুলিশের আইজি আনন্দ কুমার। রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘জেলার সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।’’ এক পুলিশকর্তার কথায়, ‘‘ধৃত দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আপাতত তাঁদের সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক দলের যোগ পাওয়া যায়নি।’’
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী পিন্টু ঘোষের বক্তব্য, ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছাড়াও অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আদালত ধৃতদের চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
এ দিন বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী দাবি করেন, ‘‘ধৃত দুই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ এ দিন আদালতে কৃষ্ণ ও প্রদীপ দাবি করেন, তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁরা হামলা সম্পর্কে কিছুই জানেন না।