—নিজস্ব চিত্র।
২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর দীর্ঘ দু’বছর কেটে গেলেও এখনও নবনির্বিত রাত্রিনিবাসকে রোগীর আত্মীয়দের থাকার উপযোগী করে তোলা গেল না!
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বালুরঘাট পুরসভা যৌথ ভাবে এই রাত্রিনিবাস তৈরি করেছিল। মূল উদ্দেশ্য ছিল বালুরঘাট হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়দের রাতে থাকার ব্যবস্থা করা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের অঙ্গ হিসেবে এই রাত্রিনিবাস তৈরি করা হয়। কিন্তু দু’বছর ধরে তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত রাত্রিনিবাসটি। যার জেরে গাছ তলায় বা টিনের শেডের নীচে শুয়ে-বসে রাত কাটাতে হয় রোগীর আত্মীয়দের। আশপাশে কোথাও তেমন বড় হোটেলও নেই, যেখানে রাত্রিযাপন করার ব্যবস্থা রয়েছে।
এর আগে রাত্রিযাপনের জন্য ‘সৌহার্দ্য’ নামে একটা ভবন তৈরি হলেও তা এখন চিকিৎসকদের দখলে। বাইরে থেকে আসা চিকিৎসকেরা সেখানেই থাকেন। রোগীর আত্মীয়দের ঠাঁই হয়েছে গাছতলায়। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের অংশ হিসাবে তিনতলা একটি ভবন তৈরি করা হয় হাসপাতাল চত্বরে। কিন্তু বিভিন্ন কারণে সেই রাত্রিনিবাস আজও বন্ধ। জেলা স্বাস্থ্য দফতর, রোগীকল্যাণ সমিতি ও পুরসভা বারবার মিটিং করেছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। রোগীর আত্মীয়েরা এই শীতের রাতে এখনও গাছ তলাতেই আশ্রয় নেন। অবশ্য বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র দাবি করছেন, ‘‘খুব দ্রুত এই রাত্রিনিবাস খুলে দেওয়া হবে। সঙ্গে থাকবে খাবারের ক্যান্টিন। যেখান থাকছে রাত্রিকালীন ও দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা। তার জন্য অবশ্য নির্ধারিত মূল্য দিতে হবে।’’