চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিযে যাওয়া হচ্ছে নির্যাতিতাদের মাকে। নিজস্ব চিত্র
বিয়েবাড়ি থেকে ফেরার পথে ২ আদিবাসী তরুণীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল। ঘটনাচক্রে এর পরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দুই নির্যাতিতার মা। এই ঘটনা মালদার হবিবপুরের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিরইলে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওই ২ তরুণী একটি বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পথে বাইকে করে তাঁদের তুলে নিয়ে যায় ৪ যুবকের একটি দল। এর পর রাস্তার পাশে একটি পুকুরের ধারে বড়বোনকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। ছোটবোনকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। মেয়েরা বাড়িতে না ফেরায় সন্ধানে নামে তাঁদের পরিবার। তাঁরা দুই বোনকে উদ্ধারের পাশাপাশি এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
বুধবার দুই বোনকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। সেই সময় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁদের মা। তড়িঘড়ি তাঁকে প্রথমে স্থানীয় বুলবুলচণ্ডী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মালদহ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। এমন কাণ্ডে ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবারটি। এক নির্যাতিতা বলেন, ‘‘ওদের দেখলেই চিনতে পারব। পথ আটকে, আমাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। আমরা অভিযুক্তদের চরম শাস্তি চাই।’’
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘এটা গণধর্ষণের ঘটনা। বড়বোনকে ২টি ছেলে ধর্ষণ করেছে। ছোট মেয়েটিকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে। ওই কাণ্ডে মোট ৫ জন যুক্ত ছিল বলে জানতে পেরেছি। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা বাকিদের চিহ্নিত করতে পেরেছি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখান থেকে কিছু প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তরা কাছাকাছি থাকে বলেই জানতে পেরেছি।’’