TMC

চিনা পণ্যের বয়কটে এক সুরে দুই নেতা

চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের বিন্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিপুল রায়ের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার সকালেই তাঁর বাড়িতে যান এই দুই নেতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২০ ০৭:৫৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

একজন যে দামি মোবাইল ব্যবহার করেন, তার যন্ত্রাংশ চিনের. আর একজন যে গাড়ি ব্যবহার করেন, তার যন্ত্রাংশও আসে চিন থেকে। প্রথমজন বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। দ্বিতীয়জন তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা। আর পাঁচটা সাধারণ নাগরিকের মতো তাঁদের প্রাত্যহিক জীবনেও যে চিনের তৈরি পণ্য ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে, সেটা স্বীকার করছেন দুজনেই। কিন্তু লাদাখের ঘটনার পর রাজনীতির ময়দানে দুই বিপরীত মেরুতে থাকা দুই নেতাই চিনা পণ্য বয়কটের পক্ষে জোর সওয়াল করলেন।

Advertisement

চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের বিন্দিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বিপুল রায়ের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে বুধবার সকালেই তাঁর বাড়িতে যান এই দুই নেতা। সেখানে গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, “চিনের আগ্রাসনে আমাদের ২০ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এ ভাবে চিন আমাদের দেশের ক্ষতি করবে আর আমরা চুপ করে বসে থাকব, সেটা হয় না। চিন আমাদের দেশে ব্যবসা করে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার মুনাফা নিয়ে যাচ্ছে। এবার আমরা চিনের পণ্য বয়কট করা শুরু করব।” পাশাপাশি, বিজেপি নেতাদের একাংশের কথায়, যেসব দ্রব্য বা যন্ত্রাংশ দেশে পাওয়া যায়না, সেগুলি তৈরির ব্যবস্থা জন্য সরকার নীতি ঘোষণা করা প্রয়োজন। একই ভাবে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূলে অন্দরেও চিনা পণ্য বয়কটের দাবি উঠতে শুরু করেছে। মোহনের কথায়, “লাদাখে আমাদের ঘরের ছেলে নিহত হয়েছেন। এটা কোন ভাবেই মানতে পারছি না। তাই এই মুহূর্তে আমাদের চিনের জিনিস বয়কট করা উচিত বলে মনে করি। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে আবেদন জানাব। তারপর তাঁরা যা বলবেন, সেই অনুযায়ী চলব।”

তবে শুধুমাত্র প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের অন্দর থেকেই নয়। লাদাখের ঘটনার পর আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন স্তরের মানুষ চিনা পণ্য বয়কটের পক্ষে জোর সওয়াল করতে শুরু করেছেন। চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে যে জেলারই একজন ছেলে নিহত হয়েছেন, বুধবার সকাল হতেই গোটা আলিপুরদুয়ারে সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তার পরই শোকের ছায়া নেমে আসে। সঙ্গে চিন-বিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিহত জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি চিনা পণ্য বয়কটের পক্ষে সওয়াল করেন বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ। দুপুরে একটি সংগঠনের তরফে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দিয়ে আলিপুরদুয়ার চৌপথিতে অবস্থান চলে। সন্ধেয় কলেজ হল্টেও চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়ে সভা হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement