উদ্ধার হওয়া ময়ূর। নিজস্ব চিত্র।
পরপর দু’দিন ডুয়ার্সের দু’টি চা বাগান থেকে উদ্ধার হল অসুস্থ এবং মৃত বন্যপ্রাণীর দেহ। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগান থেকে ৭টি অসুস্থ ময়ূর উদ্ধার করেছে বন দফতরের কর্মীরা। তার ঠিক আগের দিন বানারহাট চা বাগান থেকে দুটি বনবিড়ালের ক্ষত বিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ৭টি অসুস্থ ময়ূরের মধ্যে একটি ময়ূরের মৃত্যু হয়েছে। পরপর এমন বন্যপ্রাণীর মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগানে অসুস্থ ময়ূরগুলিকে দেখতে পান বাগানের শ্রমিকরা। সেগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে রাখা হয় চা তৈরির কারখানার সামনে। অনুমান, কীটনাশক খেয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে ময়ূরগুলি। আপাতত তাদের লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই চলছে চিকিৎসা। এর মধ্যে একটি ময়ূরের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানিয়েছে, মৃত ময়ূরটির ময়নাতদন্ত করলেই অসুস্থতার কারণ জানা যাবে।
বানারহাট চা বাগানের ৪৪ নং সেকশন থেকে দুটি বনবিড়ালের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছিল বনকর্মীরা। বড় কোনো বন্যপ্রাণীর আক্রমণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান বনকর্মীদের। ওই দুই বন্যপ্রাণীর দেহও উদ্ধার করে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানান, ‘‘অসুস্থ ৭টি ময়ূরকে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পথেই একটি ময়ূরের মৃত্যু হয়। অনুমান, কীটনাশক খেয়ে অসুস্থ হয়েছে ময়ূরগুলি। বানারহাট চা বাগান থেকেও দুটি বন বিড়ালের দেহ পাওয়া গিয়েছে। তবে রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ বোঝা যাচ্ছে না।’’
যদিও কীটনাশক খেয়ে ময়ূরের অসুস্থ হওয়ার ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা। ন্যাশের কর্মকর্তা আফসার আলী বলেন, ‘‘যেখানে বন্যপ্রাণীদের আনাগোনা, সেখানে কী ভাবে কীটনাশক ফেলে রাখা হয়, সেটাই তো বড় প্রশ্ন!’’ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হলদিবাড়ি চা বাগানে এর আগেও বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েক মাস আগেই বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয় হলদিবাড়িতে।