ফাইল চিত্র।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করল পুলিশ। বাধা উপেক্ষা করে জোর করে বাইক মিছিল করায় মামলা দায়ের হল বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও। তবে বিজেপির হুমকি, তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর পাসাং লামা দ্রুত গ্রেফতার না হলে জেলা জুড়ে বড় আন্দোলনে নামবে তারা। গেরুয়া শিবিরের এই হুমকিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।
বৃহস্পতিবার ভুটান সীমান্ত লাগায়ো জয়গাঁর খোকলাবস্তিতে জনসভা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ওই সভার আগে দলসিংপাড়া থেকে দিলীপকে নিয়ে বাইক মিছিল বের করেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, জিএসটি মোড় এলাকায় মিছিল পৌঁছলে সেখানে দিলীপকে কলো পতাকা দেখানো হয়। এরপর ঝর্না বস্তি এলাকায় দিলীপের কনভয় লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ারও অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়ে পথে নামেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন থানায় বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি জয়গাঁ থানায় তৃণমূলের ২৫ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিজেপি নেতারা অভিযোগও দায়ের করেন।
তবে পুলিশ সূত্রের খবর, বিজেপির অভিযোগ দায়েরের আগেই দিলীপ ঘোষের কনভয়ের উপর হামলার ঘটনায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়। পাশাপাশি, মাত্র ২৫টি বাইক নিয়ে মিছিলের অনুমতি থাকলেও, পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে কয়েকশো বাইকের মিছিল বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা রুজু হয়েছে। যদিও এই দুই মামলা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাননি পুলিশের কর্তারা। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “দিলীপ ঘোষের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপিও একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
সেটা গোটা ঘটনার তদন্তে ঢুকে পড়বে।”
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা শনিবার সাফ বলেন, “তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর পাসাং লামার নেতৃত্বেই আমাদের দলের রাজ্য সভাপতির উপর হামলা হয়েছে। তাই তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে থানায় আমরা অভিযোগও করেছি। অবিলম্বে তাঁকে এবং গোটা ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতার করা না হলে জেলা জুড়ে বিজেপির বড় ধরনের আন্দোলন দেখার জন্য পুলিশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।”
বিজেপির এই হুমকিকে অবশ্য গুরুত্ব দিতে রাজি নয় জেলা তৃণমূল। এ দিন পাসাং বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। তবে আমার বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ করলেই হবে না। বিজেপিকে তা প্রমাণও করতে হবে। আর তা করতে না পরলে জনগণ খুব শীঘ্রই বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে।”