টোল বিতর্কে তিন জেলায় পরিবহণ ধর্মঘটের ঘোষণা

জাতীয় সড়কে টোল ট্যাক্স না কমানোর সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষ অনড় থাকায় তিন জেলা জুড়ে আজ, মঙ্গলবার থেকে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিল সমস্ত মালিক সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৬ ০১:৩২
Share:

জাতীয় সড়কে টোল ট্যাক্স না কমানোর সিদ্ধান্তে কর্তৃপক্ষ অনড় থাকায় তিন জেলা জুড়ে আজ, মঙ্গলবার থেকে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দিল সমস্ত মালিক সংগঠন। সোমবার সন্ধ্যায় মালদহ জেলা বাণিজ্য ভবনে তিন জেলার বণিক মহল, পরিবহণের মালিক সংগঠনের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে আরও নাকাল হওয়ার আশঙ্কায় যাত্রীরা। এরপরেও প্রশাসনের টনক না নড়লে তিন জেলা জুড়ে ব্যবসা বন্ধ রাখারও হুঁশিয়ারি দিয়েছে মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাস।

Advertisement

মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কর্মাসের সম্পাদক উজ্জ্বল সাহার অভিযোগ, জাতীয় সড়কে লাগামছাড়া টোল বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা প্রথম থেকেই আন্দোলন শুরু করেন। কিন্তু নিজেদের অবস্থানে অনড় রয়েছে প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘তাই তিন জেলার সমস্ত রুটে পরিবহণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এমন কী তিন জেলার ব্যবসাও বন্ধ রাখা হবে আগামীতে।’’ টোল ট্যাক্স কমানোর বিষয়ে ঠিকাদার সংস্থার মালদহের ম্যানেজার মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘মালদহের গাজল ও ১৮ মাইলে টোল আদায়ের দায়িত্বে আমরা রয়েছি। তবে কত টোল নেওয়া হবে তা ঠিক করবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের কোনও বিষয় নেই। এই বিষয়টি কিছুতেই বুঝতে চাইছেন না পরিবহণ মালিক ও ব্যবসায়ীরা। ফলে আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।’’

বৃহস্পতিবার থেকে টোল ট্যাক্স কমানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন মালদহ সহ দুই দিনাজপুরের পরিবহণ মালিকরা। ওই দিন থেকেই টোলের উপর দিয়ে যাওয়া সমস্ত যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। ফলে চরমে উঠেছে যাত্রীদের ভোগান্তি। এ বার তিন জেলার সমস্ত রুটে বেসরকারি বাস, ম্যাক্সিট্যাক্সি, ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধের সিন্ধান্ত হওয়ায় এ দিন ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে তিন জেলার ব্যবসায়ী ও বেসরকারি পরিবহণ মালিক সংগঠনগুলি জরুরি বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে টোল কমানোর দাবি জানানো হয় ঠিকাদার সংস্থাকে। তবে ঠিকাদার সংস্থা তাঁদের দাবি না মেনে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকায় তিন জেলা জুড়ে লাগাতার পরিবহণ ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মালিক সংগঠন গুলি। আর ফলে আরও নাজেহাল হতে হবে সাধারণ মানুষকে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন জেলায় প্রায় ১৫০০ বেসরকারি যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করে। এবং তিন জেলাতেই যাত্রীরা বেসরকারি পরিবহণের উপরেই পুরোপুরি নির্ভরশীল। ফলে সমস্ত গাড়ি বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হবে যাত্রীদের। অতিরিক্ত জেলা শাসক দেবতোষ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা দ্রুত বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement