দার্জিলিং বেড়াতে এলে পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ থাকে এই টয় ট্রেন। —ফাইল চিত্র।
সামনে পুজো। তার পর শীত। ভরা মরসুম। তাই পর্যটকদের জন্য বাড়তি চারটি জয়রাইড চালানোর সিদ্ধান্ত নিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। শুক্রবার থেকেই সেই বাড়তি টয় ট্রেনগুলো চলাচলও শুরু করে দিয়েছে। রেল সূত্রে খবর, আগামী ৫ জানুয়ারি অবধি এই বাড়তি ‘জয় রাইড’ চলবে। এ ছাড়া পুজোর ভিড় সামাল দিতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলও চার জোড়া ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, পুজোর ছুটিতে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে প্রচুর যাত্রী যাতায়াত করেন। সেই ভিড় সামাল দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভয়াবহ দুর্যোগের পর সিকিম না গিয়ে এখন পর্যটকেদের অনেকেই দার্জিলিং যাচ্ছেন। অবস্থা যা, তাতে পুজোর সময় দার্জিলিং শহরে পা রাখার জায়গা থাকবে না বলে মনে করছেন হোটেলমালিকরা। আর পর্যটক এলেই টয় ট্রেনের চাহিদা অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই দেরি না করে শুক্রবার থেকেই চারটি বাড়তি ‘জয় রাইড’ চালানো শুরু করে দিল দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। একটি ট্রেন দার্জিলিং থেকে ছাড়বে সকাল ৯টা ২০মিনিটে। আবার ঘুম স্টেশন থেকে ওই ট্রেনটির ছাড়ার সময় ১০টা ২৫মিনিট। দ্বিতীয় ‘জয় রাইড’ ছাড়বে ১১টা ২৫মিনিটে। সেটি ঘুম স্টেশন থেকে ফিরবে ১২টা ৩০মিনিটে। অন্য টয় ট্রেনটি দার্জিলিং থেকে দুপুর ১টা ২৫মিনিটে ছাড়বে। ঘুম থেকে ফিরবে ২টো ৩৫মিনিটে। আর একটি জয়রাইড ছাড়বে দুপুর ৩টা ৩০মিনিটে। ঘুম পৌঁছে গিয়ে সেখান থেকে ৪টা ৩৫মিনিটে ছাড়বে।
ভিড় সামলাতে সমতলে যে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে নিউ জলপাইগুড়ি-শিয়ালদহ ও নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়ার মধ্যে। শিয়ালদহগামী ট্রেনটি প্রতি শনিবার এবং হাওড়াগামী ট্রেনটি প্রতি বুধবার যাতায়াত করবে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ‘‘পাহাড়ে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ হল টয় ট্রেন। তাই তাঁদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই বাড়তি চারটি জয় রাইড চালু হল। আটটি ‘জয় রাইড’ চলাচল করছিল। বাড়তি চারটি নিয়ে এখন দার্জিলিং এবং ঘুম স্টেশনের মধ্যে ১২টি ‘জয় রাইড’ চলাচল করবে। আর প্রতি বছরের মতো এ বারও কলকাতার জন্য পুজো স্পেশাল ট্রেন চালানো হবে।’’