—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দার্জিলিং পাহাড়ে বরফ পড়ার আশায় নতুন বছরের প্রথম পর্যটন মরসুম গেলেও, ভিড় কমেনি পর্যটকদের। মধুচন্দ্রিমা থেকে শুরু করে ‘প্রি ওয়েডিং শুট’ বাড়ছে বছরের শেষের দিকের লম্বা সপ্তাহান্তের ছুটিকে ঘিরে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি অবধি ভাল ভিড় রয়েছে পাহাড়ে। সিকিমের উপরের অংশে বরফ পড়লেও, দার্জিলিঙে এখনও বরফ পড়েনি। তবে গত তিন দিন ধরে দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে সিকিম পাহাড়ে ঠান্ডা ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিকেল থেকে নিয়মিত কনকনে ঠান্ডা হাওয়াও বাড়ছে।
আবহাওয়া দফতর বলছে, পাহাড়ে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কিছুটা কমলেও, সমতল এলাকায় কুয়াশার দাপট চলবে আরও দু-তিন দিন। সার্বিক ভাবে উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই তাপমাত্রা আগামী ২৪ ঘন্টায় আরও নামবে বলে শুক্রবার আবহাওয়া দফতর সূত্রে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে দার্জিলিং বা সান্দাকফুতে আগামী দু-এক দিনে তুষারপাতের সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পরিচালন পদ্ধতিতে উত্তর-পশ্চিম ভারতের যে কুয়াশা উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত এসে পৌঁছচ্ছে, তার প্রভাব আরও দু-তিন দিন চলবে।" সিকিমের উঁচু পাহাড়ে কয়েকটি জায়গায় অবশ্য তুষারপাত চলছে বলে খবর। দার্জিলিঙে বরফের আশায় এখনও ভিড় করে আছেন পর্যটকেরা।
পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, প্রতি বছর বড়দিন, নতুন বছরের মরসুম বছরের প্রথমে দিকে ধীরে ধীরে শেষ হয়। এ বার দুই দফায় জানুয়ারিতে লম্বা ছুটি পড়ায় ভিড় থাকছে। বিশেষ করে শুক্রবার, ১২ জানুয়ারি বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তীর পরে শনিবার, রবিবার পড়েছে। তেমনই ২৬ জানুয়ারি সঙ্গে জুড়ে রয়েছে শনিবার, রবিবার। তাই সরকারি ছুটিকে ঘিরে এক-দু’দিনের ছুটি নিয়ে অনেকেই পাহাড়ে নতুন করে আসছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে কলকাতার পর্যটকদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। গত অক্টোবরে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জের কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে সিকিমও। সেখানেও প্রচুর পর্যটক এখনও ঘুরছেন। পর্যটন সংগঠন ‘হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড টুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘নতুন বছরের শুরুতে মরসুম সাধারণত শেষ হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজের পরীক্ষার পরে, ধীরে ধীরে গরমের মরসুম চালু হয়। এ বার সেটা একটু বদল হয়ে রয়েছে। ঠান্ডা ভাল থাকায় বরফ দেখায় আশায় পাহাড়ে ভিড় রয়েছে। সিকিমে গিয়েও পর্যটকেরা বরফ দেখে আসছেন।’’
ঠান্ডার দাপটের সঙ্গে প্রতিদিনই শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরের কিছু অংশে সকাল, রাতে কুয়াশার দাপট চলছে। তাতে ট্রেন, বাসের সময়ে কিছু হেরফের হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার বিমানও অনেক সময় দেরিতে চলছে।