দার্জিলিংয়ের সিংহালিলা রেঞ্জের টুংলিঙে তুষারপাত। নিজস্ব চিত্র।
পর্যটনে ছাড় দিতেই পাহাড়ে বরফ পড়ছে কি না ফোন করে তার খোঁজ করতে শুরু করেছেন পর্যটকেরা। পর্যটকদের পাহাড় চূড়ার আবহাওয়ার কথা অবশ্য জানিয়ে দিচ্ছে খোদ দার্জিলিংই। মঙ্গলবার দার্জিলিঙের বিভিন্ন জায়গায় প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে বৃষ্টিও।
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকেই খুলে গিয়েছে রাজ্যের সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর হাসিখুশি পাহাড়-সহ ডুয়ার্সের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলি। ‘হিমালয় হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক’-এর সম্পাদক সম্রাট সান্যালের কথায়, ‘‘বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে আমাদের সঙ্গে পর্যটকরা যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। তুষারপাতের কী পরিস্থিতি তা পর্যটকরা সকলেই জানতে চাইছেন। তুষারপাত দেখতে পাবেন কি না সেটাই জিজ্ঞাস্য তাঁদের।’’
পর্যটকদের আশা বাড়িয়ে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই অবশ্য বদলে গিয়েছে দার্জিলিং শহর-সহ পাহাড়ের আবহাওয়া। শুরু হয়েছে মরসুমের পঞ্চম তুষারপাত। ভর দুপুরেই সন্ধ্যা নেমে আসে দার্জিলিঙে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কিছু জায়গায় শুরু হয় হালকা বৃষ্টিপাত। বিকেলের দিকে টাইগার হিল, চটকপুর, ধোতরে, ফালুট, সান্দাকফু, সিংগালিলা রেঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকায় তুষারপাত হয়। ঘুমে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। এক দিকে টাইগার হিল, চটকপুর, জোড়বাংলো, অন্য দিকে সান্দাকফু, টংলু, টুংলিং-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ঢেকে গিয়েছে বরফে।