প্রশান্ত কিশোর (পিকে)।
বহুবার সতর্ক করেও রাশ পড়েনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে। সেই সঙ্গেই তৃণমূলের নেতদের চালচলনেও খুশি নন ভোটারদের একটি অংশ। আজ, শনিবার কলকাতায় ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যে নেতারা যোগ দেবেন, তাঁদের নিয়ে বৈঠক করবেন প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। পিকে সেই বৈঠকে কী নির্দেশ দেন, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছেন দলের কর্মীদের একটি অংশ। কর্মীদের একটি অংশের বক্তব্য, দলের শীর্ষনেতাদের মধ্যে বিরোধের জেরে ব্লক ও অঞ্চল পর্যায়েও একই অবস্থা দাঁড়িয়েছে। সে জন্যেই সংগঠন এখনও সে ভাবে চাঙ্গা হয়ে ওঠেনি। পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে তৃণমূলের নেতাদের একটি বড় অংশ গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন। তাঁদের সেই আয় নিয়েও মানুষের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। এই দুই বিষয়ে রাশ না ধরতে পারলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবেই বলে মনে করছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে তাঁদের বৈভব দেখাতে বারণ করেছেন পিকে। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তিনি বলেন, “দল এখন অনেক শক্তিশালী।”
এ বারে লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। তার পর থেকেই জেলায় কার্যত তৃণমূলের সংগঠনে ধস নামে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় বিনয়কৃষ্ণ বর্মণকে। কার্যকরী সভাপতি করা হয় পার্থপ্রতিম রায়কে। এর পরেই ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নামে তৃণমূল নেতৃত্ব। ওই কর্মসূচির মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে তৃণমূল। বহু জায়গাতেই সংগঠন ফের শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
কিন্তু দলের নেতাদের দ্বন্দ্বে দাঁড়ি না পড়ায় বহু জায়গাতেই সংগঠনের কাজ এগোচ্ছে না। শুধু তাই নয়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক নেতার কথায়, “দল করে আর্থিক ভাবে যাঁরা লাভবান হয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দিতে হবে।”
বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী দাবি করেন, তৃণমূল পুরোপুরি দুর্নীতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পক্ষে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।”