ফাইল চিত্র।
গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদহে ‘বিধায়ক শূন্য’ ছিল তৃণমূল। দলবদলের জেরে এখন জেলায় তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা চার।দলের অন্দরমহলের খবর, শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস ছেড়ে শাসক শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন মালদহের একাধিক বিধায়ক। এখন ‘দাদা’র অবস্থান নিয়ে দোলাচলে তাঁদের অনেকেই। তাঁদের মতোই দ্বিধায় ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের একাধিক জনপ্রতিনিধি। গত বিধানসভা নির্বাচনে মালদহের ১২টি আসনের মধ্যে ১১টিতেই জয়ী হয় বাম-কংগ্রেস জোট। বিজেপি বৈষ্ণবনগর আসন পেলেও জেলায় খাতা খুলতে পারেনি তৃণমূল। মালদহ ‘বিধায়ক শূন্য’ থাকায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে বছরখানেক পরেই গাজলের দিপালী বিশ্বাস, ইংরেজবাজারের নীহাররঞ্জন ঘোষ, মোথাবাড়ির সাবিনা ইয়াসমিন এবং রতুয়ার সমর মুখোপাধ্যায় বাম-কংগ্রেস ছেড়ে এক এক করে যোগ দেন তৃণমূলে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিপালী, নীহাররঞ্জন শাসক-শিবিরে যোগ দেন তৎকালীন জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক শুভেন্দুর হাত ধরেই। চার বিধায়কই দলের সহ-সভাপতি রয়েছেন। শাসক-শিবিরে যোগ দেওয়া বিধায়কদের একাংশের দাবি, দলবদল করলেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি। এমনকি, ব্লক নেতৃত্বও বিধায়কদের গুরুত্ব না দিয়েই দলের কাজ করেন।
দলীয় সূত্রে খবর, মালদহ জেলা পরিষদেও দলবদলের ‘কারিগর’ ছিলেন শুভেন্দু। সে ভাবেই পরিষদের দখলও নিয়েছিল তৃণমূল। তার জেরে জেলা পরিষদেও দাদার ‘অনুগামী’ রয়েছেন। একাধিক পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানও রয়েছেন তাঁর অনুগামী। দলের নেতাদের একাংশের দাবি, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক জনপ্রতিনিধিকে পদে বসিয়েছেন শুভেন্দু। এমন পরিস্থিতিতে তাঁর অবস্থান নিয়ে দোলাচলে জেলার শাসক শিবিরের একধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী। দলের অন্দরমহলের খবর, অনেকে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন দাদার সঙ্গে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ‘দাদার অনুগামী’ বলে পুজোর শুভেচ্ছা জানিয়ে ফ্লেক্স ঝোলানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মালদহে সেই ফ্লেক্স দেখা যায়নি। যদিও করোনা-আবহে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া একাধিক ফ্লেক্স চোখে পড়েছিল জেলায়। এ নিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৌসম নূর বলেন, “আমরা সবাই দলের সৈনিক। সেই হিসেবেই জেলায় কাজ করছি।”