সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী হলেন পার্থ।
এত দিনের পরিশ্রমের ফল পেলেন পার্থ ভৌমিক। এমনটাই মনে করছেন দলে তাঁর সতীর্থেরা। খুশির হাওয়া গোটা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে। বুধবার রাজ্যের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। বিকেলে রাজভবনে মন্ত্রী হিসাবে পার্থ শপথবাক্য পাঠ করার পরেই বাজি ফাটিয়ে আনন্দে মাতলেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। মিষ্টিমুখ করানো হল পথচলতি মানুষকে। পার্থকে মন্ত্রিসভায় স্বাগত জানান রাজ্যের আর এক মন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ। অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী যেমন বলেই ফেললেন, ‘‘এত দিনের পরিশ্রমের ফল পেলেন পার্থ।’’
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলের কথা ঘোষণা করতেই পার্থের নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। কিছু দিন আগেই ব্যারাকপুর-দমদম সাংগঠনিক জেলা সভাপতির পদ থেকে পার্থকে সরানো হয়েছিল। এ বার তাঁকে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য করা হল। সেচ ও জলপথ দফতরের মন্ত্রী হলেন পার্থ। তিনি যখন রাজভবনে রাজ্যপাল ও মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করছেন, সেই সময় উৎসবের মেজাজ দেখা গেল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে মাততে দেখা গেল কাঁচরাপাড়া পুরসভার কাউন্সিলর দিলীপ ঘোষ, কাঁচরাপাড়ায় দলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি তন্ময় ভট্টাচার্যকে।
জেলার রাজনীতিতে মুকুল রায়ের ‘অতি-ঘনিষ্ঠ’ নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন পার্থ। এক সময়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও হন তিনি। পরে ২০১১ সালে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে প্রথম বারের জন্য বিধায়ক হন। সুবক্তা, ঠান্ডা মাথার রাজনীতিক পার্থ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ‘আস্থাভাজন’ বলে পরিচিত। পার্থ মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন বলেন, ‘‘পার্থ আমার সতীর্থ। দীর্ঘ দিন ধরে বিধায়ক হিসাবে এলাকায় ভাল কাজ করে আসছে। নতুন দায়িত্ব পেয়ে আরও ভাল করে কাজ করবে। মন্ত্রিসভায় পার্থকে স্বাগত।’’